সুপ্রভাত ডেস্ক »
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পক্ষে থাকায় মুহিব উল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুহিব উল্লাহ মিয়ানমারে ফেরত যেতে চেয়েছিলেন। সে কারণে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হত্যা করেছে। মুহিব উল্লাহর হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করা হবে। এ হত্যাকাণ্ডে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহ হত্যায় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আল-ইয়াকীন নামের দুটি সন্ত্রাসী সংগঠনের দিকে অভিযোগ তুলেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তারা বলছেন, বেশ কিছু দিন থেকেই এরা মুহিব উল্লাহকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তারাই পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
মুহিব উল্লাহকে কারা হত্যা করেছে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এখনো সুস্পষ্ট কোনো তথ্য না দিলেও তারা বলেছে, জনপ্রিয়তার কারণে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরাই তাকে হত্যা করেছে। হত্যাকারীরা তার পরিচিত।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) কার্যালয়ে প্রবেশ করে মুহিব উল্লাহকে গুলি করে। এতে আরএসপিএইচ চেয়ারম্যান ৪৮ বছর বয়সী মুহিব উল্লাহ নিহত হন।
মুহিব উল্লাহর ছোট ভাই হাবীব উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ভাইকে আরসা ও আল-ইয়াকীনের সন্ত্রাসীরাই হত্যা করেছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালন করায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কী কারণে সন্ত্রাসীরা মুহিব উল্লাহকে হত্যা করতে পারে প্রশ্ন করা হলে হাবীব উল্লাহ বলেন, ‘কোনো মহলের ইন্ধন আছে কি না আমি জানি না। এটা তদন্ত করে বের করার দায়িত্ব সরকারের। আমার ভাই সব সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তিপূর্ণ অবস্থান এবং মাদকসহ সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থানে ছিলেন। এটাও একটা কারণ হতে পারে।’