সুপ্রভাত ডেস্ক »
বেলজিয়ামের রানির কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘রানির এই সফর বাংলাদেশ ও বেলজিয়ামের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ যে সহায়তা করছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেটা আরও জোরালো আলোচনা তৈরি করবে। এটা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে সহায়ক হবে।’ খবর বাংলাট্রিবিউনের।
মঙ্গলবার দুপুরে বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডের সঙ্গে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান বেলজিয়ামের রানি। পরে রোহিঙ্গাদের জীবনযাপন প্রত্যক্ষ করেন এবং নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের কথা শোনেন। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেননি রানি মাথিল্ডে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রানি মাথিল্ডে মধুরছড়া আশ্রয়কেন্দ্রের (ক্যাম্প-৪) লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এরপর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কয়েকজন রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে কথা বলেন। দুপুরে লম্বাশিয়া (ক্যাম্প-৫) আশ্রয়কেন্দ্রে গাছের চারা রোপণ করেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জীবনযাপন প্রত্যক্ষ করেন রানি।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মুহাম্মদ সামছুদ্দৌজা নয়ন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জীবনমান, মানবিক কার্যক্রম পরিদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন রানি। পরে স্থানীয় প্রশাসন এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।’
এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকা থেকে বিমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান রানি মাথিল্ডে। সেখান থেকে সড়কপথে কুতুপালং ক্যাম্পে গিয়ে রোহিঙ্গাদের জীবনযাপন প্রত্যক্ষ করেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর পাশের মধুরছড়া আশ্রয়শিবির ঘুরে বিকাল ৪টায় কক্সবাজার শহরে ফিরে আসেন। বিকালে বিমানে ঢাকায় ফেরেন রানি।