সুপ্রভাত ডেস্ক »
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার মোহাম্মদ ইলিয়াছ। আদালত সূত্র জানিয়েছে, এ হত্যার ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিল, কীভাবে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছে, কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা আদালতের কাছে বর্ণনা করেছেন ইলিয়াছ।
মোহাম্মদ ইলিয়াছকে গতকাল শনিবার বিকেলে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে এ জবানবন্দি দেন।
ইলিয়াছ (৩৫) উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের হেড মাঝি । তিনি রোহিঙ্গাদের কাছে মাস্টার ইলিয়াছ নামে পরিচিত। তার বাবার নাম রজক আলী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর ইলিয়াছ ‘কিলিং মিশন’ সফল হওয়ার কথা মুঠোফোনে তার হুকুমদাতাকে জানিয়েছিলেন। এ ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিলেন, কিভাবে পরিকল্পনা হয়েছে, কিভাবে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে তা সবিস্তারে আদালতের কাছে বর্ণনা করেছেন ইলিয়াছ।
তদন্ত কার্যক্রমের সাথে যুক্ত জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার অপর চারজনও হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। কিন্তু তারা কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।
মোহাম্মদ ইলিয়াছ ছাড়া এ মামলায় গ্রেপ্তার অন্য ৪ আসামি হলেন- মোহাম্মদ সেলিম, জিয়াউর রহমান, আব্দুস সালাম ও শওকত উল্লাহ।
গত ০৩ অক্টোবর দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে-৫ এ অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা নাগরিক মোহাম্মদ ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ প্রকাশ মাস্টার মুহিবুল্লাহ। এ ঘটনায় পরদিন রাতে নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।