সুপ্রভাত ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ব্যাপকতা বিবেচনায় লাল (উচ্চঝুঁকিপূর্ণ) এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। এই এক এলাকায় অবস্থিত সামরিক বা আধা সামরিক সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা সায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি দপ্তরগুলো এবং এই এলাকায় বসবাসকারী ওইসব দফতরের চাকরিজীবীরা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন।
আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, সবুজ ( নিম্ন ঝুঁকি পূর্ণ) এলাকায় অফিসগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে চলবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ১২ দফা নির্দেশনা মানতে হবে। পাশাপাশি নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে দেশের সার্বিক কার্যাবলী ও জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, আগামী ১৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটিও এ নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না। তবে অনুমোদিত সময়ে বাইরে যেতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞাকালীন জনসাধারণ ও সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
হাটবাজার, দোকানপাটে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পারিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিং মলে আগত যানবাহনসমূহকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটবাজার, দোকানপাট এবং শপিংমলসমুহ অবশ্যিকভাবে বিকাল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে;
আইনশৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কাজে নিয়োজিত সংস্থা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সাহিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর এবং সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যানা জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও মনিৱাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত মানবাহন (ট্রাক, লরি, কাগো ভেসেল প্রভৃতি) চলাচল ব্যাহত থাকবে: কৃষি পণ্য, সার, বীজ, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ঔষধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না;
চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম (ইলেট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া) এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে নিয়োজিত কর্মীরা এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবেন; ওষুধশিল্প, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো, উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্পসহ সকল কলকারখানা কর্তপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে প্রণীত বিভিন্ন শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে নির্দেশনা প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে; নিষেধাজ্ঞাকালে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। তবে, অনলাইন কোর্স বা ডিস্টেন্স লার্নিং অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রশাসনিক কার্যাবলি চালাতে পারবে।