সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »
মন্থর ও টার্নিং উইকেটে আনকোরা নিউজিল্যান্ড দল বেশিদূর এগুতে পারে নাই। টম ল্যাথামের দল নিজেদের ইতিহাসের যৌথ সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে গেল।
টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন রান এটিই। আগের সবচেয়ে কম রানও ছিল ৬০; ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো দল মিলিয়ে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডও এটিই। আগের সর্বনিম্ন ছিল সবশেষ সিরিজেই অস্ট্রেলিয়ার ৬২। পূর্নাঙ্গ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের আগের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৪৫।
নিউজিল্যান্ডকে গুটিয়ে দিতে বাংলাদেশের সব বোলারই রেখেছেন ভূমিকা। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই আসে সাফল্য। অভিষিক্ত রাচিন রবীন্দ্র শেখ মেহেদীর আচমকা লাফানো বল বুঝতেই পারেননি। ক্যাচ তুলে দেন বোলারের হাতে।
এক ওভার বিরতির পর তৃতীয় ওভারে আরেক উইকেট। উইল ইয়ং সাকিবের হুট করে নিচু হয়ে যাওয়া বল টেনে বোল্ড। চতুর্থ ওভারের এসে নাসুম আহমেদ হানেন জোড়া আঘাত।
স্লগ সুইপ করার সাহস দেখিয়ে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ধরা দেন ডিপ মিড উইকেটে। দুই বল পরই টম ব্ল্যান্ডেল নাসুমের সোজা বলে বোল্ড। মাত্র ৯ রানেই পড়ে যায় ৪ উইকেট। ধুঁকতে থাকা নিউজিল্যান্ড পাওয়ার প্লের ৬ ওভার ওই ৪ উইকেট হারিয়ে আনতে পাত্র মাত্র ১৭ রান।
এরপরই জুটি বাধেন দলের বড় দুই ভরসা টম ল্যাথাম আর হেনরি নিকোলস। উইকেটে ভাষা বুঝে নিয়ে এক-দুই করে আগাতে থাকেন তারা। থিতু হয়ে গিয়েছিল দুজন। জুটিটা বড় হওয়ার আভাস দিতেই ফের বিপদ।
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ফ্লিকের মতো খেলতে গিয়ে টামিং করতে পারেননি কিউই অধিনায়ক। ২৫ বলা ১৮ করা ল্যাথামের ক্যাচ যায় স্কয়ার লেগে।
ক্রিজে এসে অভিষিক্ত কোল ম্যাককনকি টিকেছেন মাত্র ৩ বল। সাকিবের বলে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিমের হাতে। পরের ওভারে অনেক ভরসা হয়ে থাকা নিকোলস সাইফুদ্দিনের বলে ধরা দেন মিড অনে। মোস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ারে এজাজ প্যাটেল বোল্ড হয়ে গেলে ৫২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড।
এরপর শেষ দুই ব্যাটসম্যান যোগ করতে পারেন আরও ৮ রান। ইনিংসটা মুড়ে দেন মোস্তাফিজই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড : ১৬.৫ ওভারে ৬০ (ব্লান্ডেল ২, রবীন্দ্র ০, ইয়ং ৫, গ্র্যান্ডহোম ০ , ল্যাথাম ১৮, নিকোলস ১৭, ম্যাককনকি ০, ব্রেচওয়েল ৫ , এজাজ ৩, টিকনার ৩* , ডাফি ৩ ; শেখ মেহেদী ১/১৫, নাসুম ২/৫ , সাকিব ২/১০, মোস্তাফিজ ৩/১২ , মাহমুদউল্লাহ ০/৮ , সাইফুদ্দিন ২/৭ )