সুপ্রভাত ডেস্ক »
বান্দরবানে প্রবল বর্ষণের পরবর্তী পাহাড় ধসে রুমা-থানচি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) বান্দরবান-থানচি সড়কের মিলনছড়ি থেকে চিম্বুক- নীলগিরি সড়কের পোড়া বাংলা এলাকায় গিয়ে পাহাড় ধসে সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার এ চিত্র দেখা যায়। খবর ঢাকা মেইলের।
স্থানীয়রা জানান, চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত টানা প্রবল বর্ষণে জেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পাহাড় ধসে বান্দরবান-থানচি সড়কের মিলনছড়ি থেকে চিম্বুক- নীলগিরি -পোড়া বাংলা এলাকাসহ বান্দরবান-রুমা ও থানচি সড়কের বিভিন্ন এলাকার পাহাড় ধসে সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বান্দরবান-রুমা ও থানচি সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ রুপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।এই সড়ক মেরামত করতে বা যোগাযোগ উপযোগী করতে মাসেরও অধিক সময় লাগতে পারে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
১৬ মেইল এলাকার বাসিন্দা রিং ৎলাং বম (২৫) জানান, পাহাড় ধসে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যাওয়ায় কোন প্রকার গাড়ি চলাচল করতে পারছে না।ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে এলাকাবাসী মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
চিম্বুক ১৬ মেইল বাগান পাড়া বাসিন্দা মেন রাও ম্রো বলেন, ৭ তারিখ বাসার জন্য বাজার সদাই নিতে চিম্বুক বাজারে গিয়ে ৮ তারিখ সকালে ফেরার পথে পাহাড় ধসে সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে পান।পরে কোন প্রকারে প্রায় ৯ কিলেমিটার এলাকা পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়।
টংকাবতি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্লুকান ম্রো জানান টানা ৮দিন ধরে ভারী বর্ষণের কারণেএই রাস্তাটি পুরো ধসে গেছে। এই রাস্তা ধসে যাওয়ার কারণে কোনদিকে সড়ক পথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না এলাকাবাসী খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছে। তাই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বাংলাদেশ(২০ ইসিবি) এর ওয়ারেন্ট অফিসার রাহুল হাসান পার্থ জানান বান্দরবান হতে রুমা,বান্দরবান হতে চিম্বুক-নীলগিরি-থানচি সড়কটি দ্রুত যান চলাচল উপযোগী করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান বান্দরবান হতে ওয়াইজংশন পর্যন্ত চলাচলের উপযোগী করা হবে। আগামীকাল আরো কয়েকটি টিম সড়কের কাজে যোগ হবে। চিম্বুক ও নীলগিরি মধ্যবর্তী পোড়া বাংলা এলাকায় প্রায় ১শ মিটার ধসে যাওয়া সড়কে বিকল্প সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন জানান, গতকাল পর্যন্ত জেলায় বন্যায় ১৫ হাজার ৮০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত, ৩ হাজার ৫৭৮ টি পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ও ৮ হাজার ২৫৩ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া গেলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য জানানো যাবে।