সুপ্রভাত ডেস্ক »
ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদের মানুষের প্রয়োজনে পাশে থেকেছেন। ধীরে ধীরে তার সাহস, সততা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন, দিয়েছেন। অসুস্থ পরিবেশে, রাষ্ট্রের বহুমাত্রিক সংকটে তাকে খুব প্রয়োজন ছিল।
সৈয়দ আবুল মকসুদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘বহুমাত্রিক সৈয়দ আবুল মকসুদ‘ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সাহিত্যিক মফিদুল হক, অধ্যাপক গোলাম রহমান, কবি সাজ্জাদ শরিফ।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, ‘সাহস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুণ, সৈয়দ আবুল মকসুদের তা ছিল। সাহস মানে সততা, আদর্শিক জীবন; যার শক্তিতে তিনি কাজ করে গেছেন। সাহিত্য–সংস্কৃতি–সমাজ নিয়ে সার্বক্ষণিক ভেবেছেন। সততার জন্য তিনি বাসসের সাংবাদিকতার চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। পরিবার কীভাবে চলবে তা নিয়ে ভাবেননি, সমাজ ও মত প্রকাশকে গুরুত্ব দিয়েছেন।‘
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘একজন মানুষের জেগে থাকার শক্তিই হচ্ছে সমাজের বিবেক। সৈয়দ আবুল মকসুদ ছিলেন তাই। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে তিনি অনেক দিন মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একজন হিসেবে থাকবেন। তার রুচিসম্মত চিন্তা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। গণতান্ত্রিক ভাবনায় লিখতেন, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে কাজ করে গেছেন। তাই মাটি মানুষের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে লিখেছেন। প্রান্তিক কৃষকদের জন্য অত্যন্ত আন্তরিকতা নিয়ে ভাবতেন।‘
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠক আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক শরিফুল হাসান ও ইমরান মাহফুজ। সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন। সমাপনী বক্তব্য দেন লেখকপুত্র সৈয়দ নাসিফ মকসুদ।
সৈয়দ আবুল মকসুদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মহাত্মা গান্ধী স্মারক পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
সূত্র : ডেইলি স্টার