সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »
প্রথম ইনিংসে বড় পুঁজি গড়েই ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। তার জবাবটা দারুণভাবেই দেয় বাংলদেশ। ১১৭ রানের লিড নেওয়ার পর স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসের ওপেনিং জুটি ভেঙে দিন শেষ করেছে তারা। ফলে রাওয়ালপিণ্ডি টেস্টের লাগাম এখন সফরকারীদের হাতেই।
শনিবার রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ৯৪ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেটে ২৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। এর আগে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান করে অলআউট হয়।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম ফিরিয়েছেন সাইম আইয়ুবকে। শরীফুলের বলে উইকেটকিপার লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েছেন সাইম। ব্যক্তিগত ১ রানে ফেরা সাইম দলকে ৫ রানে রেখে আউট হয়েছেন। পাকিস্তান ইনিংস শুরু করেছিল ১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে।
শেষ বেলায় আলোকস্বল্পতার কারণে দিনের পুরো খেলা সম্ভব হয়নি। তবে ১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল স্বাগতিকরা। দুই টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হাঁসফাঁস করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। বারবারই পরাস্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশকে আবারও ব্যাট করাতে ৯৪ রান দরকা দলটির। শরীফুল ইসলামের বলে ওপেনার সাইম আইয়ুবকে হারানো দলটিকে এরপর দিন পাড় করেছেন আবদুল্লাহ শফিক (১২*) ও অধিনায়ক শান মাসুদ (৯*)।
এর আগে মুশফিকুর রহিমের ১৯১ রানের ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। ১১৭ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।
শেষ দিকে শরীফুল ইসলাম ১৪ বলে ২২ রানের ইনিংস খেললে বাংলাদেশের সংগ্রহ সাড়ে পাঁচ শ পার হয়। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ। আর ২টি করে উইকেট শাহিন আফ্রিদি, খুররম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আলীর।
মুশফিক-মিরাজের রেকর্ড জুটি
মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ১৯৬ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে তোলেন মুশফিক। এর আগে ২০১০ সালে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান হেমিল্টনে সপ্তম উইকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গড়েছিলেন ১৪৫ রানের জুটি।
মিরাজ ফিরলেন ৭৭ রানে
মুশফিকের আউটের পর বাংলাদেশ দল এগোচ্ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে। দলের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে মিরাজ থামলেন ৭৭ রান করে। ১৭৯ বল খেলা ইনিংসটি থেমেছে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে স্লিপে সালমান আগার হাতে ক্যাচ দিয়ে।
১৯১ রানে আউট মুশফিক
চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও পারলেন না মুশফিকুর রহিম। ১৯১ রান করে মোহাম্মদ আলীর বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপারের কাছে। ৩৪১ বলের ইনিংসে ২২ চার ও ১ ছয় মেরেছেন মুশফিক।
লিটনকে ফেরালেন নাসিম
টেস্টের তৃতীয় দিনে নাসিম শাহকে বড্ড ভুগিয়েছেন লিটন দাস। পাকিস্তানি পেসারের এক ওভারে ১৮ রান নিয়ে ফিফটি পূরণ করেছিলেন লিটন। সেই নাসিমই চতুর্থ দিনে লিটনকে ফেরালেন। এই আউটে ভাঙলেন মুশফিক–লিটনের ১১৪ রানের জুটি।
স্কোর:
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ১১৩ ওভারে ৪৪৮/৬ ডিক্লে. (শাহীন ২৮*, মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৭১*, আগা সালমান ১৯, সৌদ শাকিল ১৪১, সাইম আইয়ুব ৫৬; শফিক ২, শান মাসুদ ৬, বাবর ০)
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৬৭.৩ ওভারে ৫৬৫/১০; লিড ১১৭ (নাহিদ ১*, জাকির ১২, শান্ত ১৬, মুমিনুল ৫০, সাদমান ৯৩, সাকিব ১৫, লিটন ৫৬, মুশফিক ১৯১, মিরাজ ৭৭, শরিফুল ২২)
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান ১০ ওভারে ২৩/১ (মাসুদ ৯*, শফিক ১২*; সাইম ১)