সুপ্রভাত ডেস্ক »
উচ্ছ্বাস ও তর্কশক্তির দারুণ সমন্বয়ে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সম্পন্ন হলো রবি দৃষ্টি বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫-এর বর্ণাঢ্য সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ফাইনাল পর্বে স্কুল ও কলেজ—দুই স্তরেই অনুষ্ঠিত হয় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
স্কুল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় এবং রানারআপ হয়েছে মির্জা আহমেদ ইস্পাহানী স্মৃতি বিদ্যালয়। ফাইনাল পর্বে অসাধারণ যুক্তি ও উপস্থাপনার জন্য ‘ডিবেটার অব দ্য ফাইনাল’ নির্বাচিত হয়েছেন তাজওয়ার। এছাড়া তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে সানোয়ারা ইসলাম বালক উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল পর্যায়ের ফাইনালের মোশন ছিল: “এই সংসদ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ডিজিটাল অবকাঠামো সম্প্রসারণের আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক শিশু অনলাইন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করবে।”
অন্যদিকে কলেজ পর্যায়ের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ এবং রানারআপ সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ। কলেজ ফাইনালে ‘ডিবেটার অব দ্য ফাইনাল’ হয়েছেন হোসাইন মনসুর খালেদ। কলেজ ফাইনালের মোশন ছিল: “এই সংসদ এশিয়ায় জাতীয় নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে পরিচালিত ডিজিটাল নজরদারিকে অনুমোদন দেবে।”
পুরো টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক যুক্তিবাদ ও তর্কশক্তির জন্য স্কুল পর্যায়ের ‘ডিবেটার অব দ্য টুর্নামেন্ট’ নির্বাচিত হয়েছেন আফরা আনান সারাহ ও নিবেদিতা দেবনাথ, এবং কলেজ পর্যায়ের ‘ডিবেটার অব দ্য টুর্নামেন্ট’ হয়েছেন আতেফ শাহরিয়ার।
চট্টগ্রামের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পাঠান মোঃ সাইদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবি অজিয়াটা পিএলসিএ ক্লাস্টার মার্কেট ডিরেক্ট্রর আশরাফুল কবির রিয়াদ ও দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল।
দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাবের শাহ, যুগ্ম সম্পাদক রিদোয়ান আলম আদনান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্না মজুমদার, সাংবাদিক মুজিবুল হক ও দৃষ্টির সদস্য জুনায়েদ আসাদ। অতিথিরা বিতার্কিকদের যুক্তিনির্ভর চিন্তাভাবনা ও ইতিবাচক অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন এবং তরুণ প্রজন্মকে নৈতিক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বিতর্কচর্চার ভূমিকা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। সার্বিকভাবে এই আয়োজন চট্টগ্রামের বিতর্ক অঙ্গনে তরুণদের যুক্তি ও বিশ্লেষণধর্মী চিন্তার এক অনন্য উৎসব হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এবারের এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রামের ৩২টি স্কুল এবং সারাদেশের ১৬টি কলেজ অংশ গ্রহণ করে। গত ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহ ব্যাপী এই প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা শাহাদত হোসেন।



















































