সুপ্রভাত ডেস্ক »
কয়েক সপ্তাহ আগে ২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ক্রিকেটীয় সূচি ঘোষণা করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সেখানে ২০২৫ ও ২০২৯ সালে মোট ৮ দল নিয়ে মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশের এককভাবে বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ না থাকলেও চ্যাম্পিয়ন ট্রফির আয়োজক হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ২০২৭ ও ২০৩১ সালে রয়েছে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেখানে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার জন্য বিড করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মঙ্গলবার বোর্ড সভাশেষে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘একক ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে সকল সুযোগ সুবিধা সম্মিলিত দশটি স্টেডিয়াম প্রয়োজন, আমাদের সেটি নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে অত্যন্ত ৮টি স্টেডিয়ামে প্রয়োজন, সেটিও আমাদের সেটি নেই। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করার সুযোগ আমাদের রয়েছে। আমরা এই টুর্নামেন্টটির আয়োজক হতে চাই। আর বিশ্বকাপ যদি যৌথভাবে আয়োজন করার সুযোগ থাকে, সেটিও আয়োজন করতে চাই।’
যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান বলেন, ‘ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমরা একা পারবো না। আমরা যৌথভাবে আয়োজনের চেষ্টা করবো। আমাদের ইচ্ছা উপমহাদেশে যারা রয়েছে তাদের নিয়ে মানে এসিসির (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) অধীনে যারা আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখবো। আমরা যদি একসঙ্গে দেই (বিড করি) তাহলে বিশ্বকাপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমরা, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারত আছে। এটায় সময় খুব কম। আমরা যাই করি না কেন, দুই-একদিনের ভেতরে চূড়ান্ত করতে হবে।’
২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আয়োজক হিসেবে ছিল বাংলাদেশ। এর পর ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও একক আয়োজক ছিল। এখানে উল্লেখ্য, উপমহাদেশে হওয়া ১৯৮৭, ১৯৯৬ ও ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোনওটিই এখন পর্যন্ত এককভাবে আয়োজিত হয়নি।
১৯৮৭ বিশ্বকাপ পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে ভারত, ১৯৯৬ বিশ্বকাপ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা- এই তিন দেশ মিলেই আয়োজন করেছিল। আর ২০১১ বিশ্বকাপে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশেও হয়েছে বিশ্বকাপের অনেকগুলো ম্যাচ।