‘যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগরীকে নান্দনিক ও বাসযোগ্য সবুজনগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
গতকাল সিটি করপোরেশনের বাটালিহিলস্থ মেয়র এর কার্যালয়ের চসিকের সৌন্দর্যবর্ধন সংক্রান্ত নীতিমালা বিষয়ক আলোচনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী একথা বলেন। নীতিমালার বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে মেয়র বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে এর নীতিমালাকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সৌন্দর্যবর্ধন নীতিমালা ২০২১ নামে অভিহিত হবে। নীতিমালায় ২১টি অনুচ্ছেদ সংযোজিত হয়েছে।
এতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে ৭ (সাত) সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের প্রস্তাব যাচাই বাছাই ও মূল্যায়নের মাধ্যমে মেয়র বরাবর উপস্থাপন করবেন। নীতিমালার উল্লেখযোগ্য অনুচ্ছেদগুলো হচ্ছে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের উদ্দেশ্য, প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রসমূহ, প্রকল্প বরাদ্দের পদ্ধতি, সৌন্দর্যবর্ধন সংক্রান্ত কমিটি, প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়া, প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়সমূহ, প্রকল্প যাচাই বাছাই অনুমোদন, প্রকল্পের মেয়াদ, সালামি-ভাড়া ও ইজারা মূল্য পরিষদ, চুক্তির খসড়া অনুমোদন, ইজারা চুক্তি নবায়ন, ইজারা চুক্তির বাতিল, মেয়াদ পূর্তির পূর্বে চুক্তি বাতিল, প্রযোজ্য আইন ও নীতিমালা অনুসরণ, ইজারাকৃত ভূমির স্বার্থ হস্তান্তর বা সাব-লিজ প্রদান, সৌন্দর্যবর্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে নগর পরিকল্পনা শাখার দায়িত্ব। নীতিমালা যথাযথ অনুসরণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা খাতুন, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুল্লাহ আল ওমর, ভূসম্পদ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি