মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপি জামাত কখনো ৭ মার্চ পালন করে না। যারা এ ঐতিহাসিক দিনটি পালন করে না তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকেও বিশ্বাস করে না। এরা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করেছিল। দুর্নীতিসহ নানাবিধ অপকর্মে দেশকে লুটেরাদের হাতে সমর্পিত করেছিল। আমরা সেই অবস্থায় কিছুতেই ফিরে যেতে পারি না।
তিনি আরো বলেন, বিগত ১৪ বছরে বর্তমান সরকারের সফলতা ও অর্জনগুলো অভাবিত। এই সাফল্যগুলো মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারলেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়কে ঠেকানো যাবে না।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি স্বাধীনতাকামী বাঙালির উদ্দেশে নির্দেশনামূলক বার্তা। এ ভাষণের মধ্যদিয়েই জাতি স্বাধীনতার জন্য উজ্জীবিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী নানান ছল-চাতুরি করে বাঙালির স্বাধীনতার অদম্য আকাক্সক্ষাকে অবদমিত করতে পারেনি। তারা বুঝে গিয়েছিল বাঙালিকে আর দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা এই দিনটিতে আত্ম উপলব্ধির প্রেরণা ফিরে পাই।
তিনি আরো বলেন, জাতির স্বাধীনতা অর্জিত হলেও এখনো অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হয়নি। এই মুক্তি অর্জনের পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে পারে এবং অবশ্যই কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জিত হবে। এ কারণে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, জহুর আহমদ, সৈয়দ মো. আমিনুল হক, মো. ইলিয়াছ ও জাফরুল হায়দার সবুজ।
এছাড়া ১৫টি থানা ৪৪ সাংগঠনিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কের নেতৃত্বে সভাস্থলে মিছিল সহকারে যোগদান করেন। এছাড়া সকালে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি