নিজস্ব প্রতিবেদক »
রোববার (৬ অক্টোবর), সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস। ঘড়ির কাটায় সময় তখন সকাল নয়টার কাছাকাছি। নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকার একপাশের সড়কে বাস, সিএনজি অটোরিকশা, টেম্পোর দীর্ঘ সারি। অপেক্ষায় অফিস যাত্রী, শিক্ষার্থী, হাসপাতলের রোগী। সবাই যানবাহনে যে যার আসনে বসে চরম উৎকন্ঠায় শুধু মোবাইলে সময় দেখছেন।
কথা হলো সিএনজি অটোরিকশা আরোহী ব্যাংকার আরমান হাসানের সঙ্গে। অনেকটা বিরুক্তি মেশানো কন্ঠেই অভিযোগ করলেন, ‘মেয়েকে জামালখানে স্কুলে নামিয়ে আমাকে যেতে হবে চকবাজারে। প্রায় আধঘণ্টা সময় গড়িয়ে গেছে, আমরা এখনো ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ে আছি।’
নিউমার্কেট, ইপিজেড, আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, লালখান বাজার, চকবাজার, জামালখান, মুরাদপুর, বহদ্দারহাটের প্রাত্যহিক চিত্র। দীর্ঘদিনেও সুরাহা হচ্ছে না এ যানজট সমস্যার। তাই জনজীবনের ভোগান্তিও চরমে পৌঁছাচ্ছে। সন্ধ্যায় অফিস ছুটির পর এ অবস্থা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে বলে জানা গেছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে অন্তত দুই বার এবং সন্ধ্যার পর একাধিকবার নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্পটে যানজট সৃষ্টি হয়।
প্রায় ১৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের আনুমানিক ৭০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৫ লাখের বেশি যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক গাড়ি চলাচল করে। ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃপক্ষ, সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ-র মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি সুশৃংখল সড়ক ব্যবস্থাপনা গড়ে না ওঠায় নগর যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোটাই এখন অরক্ষিত হয়ে পড়েছে বলা যায়। একইসঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ভারী হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
সড়কে বাস-ট্রাক, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত রিকশার এলোমেলো, বেসামাল চলাচল, যত্রতত্র পার্কিং, ফুটপাত দখল, সড়কে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখা, অপরিকল্পিভাবে রাস্তা কেটে উন্নয়ন কাজ করা, দিনের বেলায় সড়কে ট্রাক চলাচল ইত্যাদি যানজটের অন্যতম কারণ বলে বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন পরে ট্রাফিক সদস্যদের উপস্থিতি কম থাকায় যানজট পরিস্থিতিন অবনতি ঘটে।
অবশ্য বর্তমানে সেই সংকট কেটে গেছে বলে দাবি করেন (অতিরিক্ত ডিআইজি) ডিসি ট্রাফিক (উত্তর) জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, ২০-২৫ দিন আগেই ট্রাফিক পুলিশের পুরো জনবলই তাদের দায়িত্বে নিয়োজিত হয়েছেন এবং তারা তাদের নিয়মিত কাজে অংশ নিয়েছেন।
যানজটের কারণ ও ভোগান্তি
‘চট্টগ্রাম মহানগরীতে যানজট ও তার বিরূপ প্রভাব’ শীর্ষক চট্টগ্রাাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের সাম্প্রতিক (২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে তৈরি করা হয় গবেষণাটি) এক প্রতিবেদনে নগরে যানজটের ১৬টি কারণ উল্লেখ করা হয়।
এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাস্তার মোড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা, সড়কে বিভিন্ন গতির ও অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, আইন প্রয়োগ ও কার্যকরের অভাব, অপর্যাপ্ত ও অপরিকল্পিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশের অভাব, সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া, লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক, রাস্তা ও ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়া।
ওই গবেষণায় জানানো হয়, চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড়ের দূরত্ব ৭ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার। শহর এলাকায় যানবাহনের স্বাভাবিক গতি (ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার) অনুযায়ী, এ পথ পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ ১২ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু লাগছে গড়ে কমপক্ষে ২৭ মিনিট। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগার কারণ যানজট। যানজটের কারণে শহরে গাড়ির গতি কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৭৫ কিলোমিটারে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল আটটা হতে রাত আটটা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লং-ভেহিকেল, প্রাইমমুভারসহ অন্যান্য পণ্য ও মালবাহী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। রাত আটটার পর পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল ও মালামাল ওঠা-নামা করানো যাবে। তবে জরুরি আমদানিকৃত খাদ্যদ্রব্য, পণ্য ও রপ্তানিযোগ্য গার্মেন্টস পণ্য বিশেষ ব্যবস্থায় চলাচল করতে পারবে। পাশাপাশি যানজট নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সড়ক মোড়ে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন যানবাহন অবস্থানের স্থান নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। কিন্তু সরেজমিনে এসব নির্দেশনা না মানার প্রবণতাই চোখে পড়ে। এর সঙ্গে নগরীতে যানজটের নতুৃন অনুষঙ্গ হিসেবে যোগ হয়েছে পঙ্গপালের মতো নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারি রিকশার চলাচল।
ব্যাটারি রিকশার অবাধ চলাচল নিয়স্ত্রণ প্রসঙ্গে (অতিরিক্ত ডিআইজি) ডিসি ট্রাফিক (উত্তর) জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে ব্যাটারি রিকশার চলাচল বেড়ে যায়।২০ দিন আগে থেকেই আমরা ব্যাটারি রিকশার ব্যাপারে হার্ড লাইনে আছি। আমাদের মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনস ও সদরঘাটা থানার পাশে ডাম্পিং স্টেশনে প্রায় এক হাজারের মতো ব্যাটারি রিকশা আটক করে রাখা হয় এবং ২১ দিনের আগে এগুলোর কোনোটি ছাড়া হয়নি। তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হচ্ছে মূল শহরে প্রবেশ না করার শর্তে। চট্টগ্রাম শহরে যে পরিমাণ ব্যাটারি রিকশা এগুলোকে তো এক জায়গায় রাখা সম্ভব নয়। সেরকম ডাম্পিং স্টেশন নেই। তারপরেও আমাদের অভিযানের ফলে নগরীর বহদ্দারহাট থেকে বাওয়া স্কুল পর্যন্ত এলাকায় ব্যাটারি রিকশার চলাচল কমে এসেছে। ওরা (ব্যাটারি রিকশা চালক) সুযোগ নেয় সকাল বেলা যখন ট্রাফিক আসেনা, রাতের বেলায় নেয় যখন যানবাহন চলাচলে ব্যস্ত থাকে সড়ক। তবে আমরা এসব রিকশার চলাচল কমিয়ে আনার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানব্লুমবার্গ ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি-বিআইজিআরএস চট্টগ্রাম সার্ভিল্যান্সের কো-অর্ডিনেটর কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ এ প্রসঙ্গে সুপ্রভাত বাংলাদেশকে বলেন,ব্যাটারি রিকশা এভাবে চলতে পারে না এ সমস্যার সমাধান করা দরকার। ব্যাটারি চালিত রিকশা যেভাবে তৈরি হচ্ছে তার লাগাম টানতে হবে। এগুলোর একটা নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারণ করে নিতে হবে। চলাচলের সীমানাও বেধে দিতে হবে। কারণ এগুলো যানজটেরও কারণ এবং বিদ্যুত সমস্যা তৈরির জন্যেও দায়ী। রাস্তায় ওঠার আগে এগুলো যেখানে তৈরি হচ্ছে সেখানেই ব্যবস্থা নিতে হবে। দেখা যাবে, একশোটির মতো কারখানা আছে। আর এগুলো থেকে প্রায় দুই হাজার গাড়ি তৈরি হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে চার্জিং স্টেশন। একটি থানা এলাকায় যদি ৫টি চার্জিং স্টেশন থাকে তাহলে চট্টগ্রামের ১৬টি থানায় যদি ৮০টি চার্জিং স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া যায় তখন এদের উপদ্রপ বন্ধ হয়ে যাবে।
অবৈধ পার্কিং ও যানজট স্পট
ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মহানগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকা, আলমাস সিনেমা থেকে ওয়াসা মোড় সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে মোট ৪২টি পার্কিং স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিল মহানগর ট্রাফিক পুলিশ। সেখানে গড়ে ১৫-২০টি করে গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এক্ষেত্রে যানজট নিরসনে কাংখিত সুফল মেলেনি বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। কারণ তুলনামূলকভাবে অবৈধ পাকিংয়ের ছড়াছড়ি রয়েছে পুরো নগর জুড়েই।
নগরীর বারিকবিল্ডিং মোড় থেকে বহাদ্দারহাট মোড় প্রধান সড়কের দুই পাশে, কদমতলী থেকে কোতোয়ালী মোড়, লালখানবাজার থেকে স্টেডিয়াম হয়ে জামালখান, চকবাজার, কাপাসগোলা, ষোলশহর, মুরাদপুর, নিমতলা থেকে হালিশহর হয়ে নয়াবাজার, সাগরিকা, অলংকার মোড় এলাকায় যেসব রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই গড়ে ওঠেছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ছাড়া।
চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে চারপাশে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট। স্টেডিয়াম পাড়ার এসব রেস্টুরেন্টের সামনে এক লেন দখল করে সন্ধ্যার পর সারিবদ্ধভাবে পার্কিং থাকে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আশপাশে গড়ে ওঠা বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা থাকলেও রোগী নিয়ে আসা গাড়ি কিংবা রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের গাড়ি সেখানে পার্ক করতে দেওয়া হয় না। এতে করে নগরীর মেহেদীবাগ, গোলপাহাড় মোড় থেকে পাঁচলাইশ, নাসিরাবাদ হাউজিং থেকে প্রবর্তক মোড় হয়ে চকবাজার এলাকায় বিকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে। জুবিলী রোডে হার্ডওয়ার, মেশিনারিজ পার্টস, টাইলসের দোকান, পাইপের দোকান, পর্দা ও ফোমের দোকান রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়, রাস্তার একটি লেন দখল করে এসব দোকানের পণ্য লোডিং ও আন-লোডিংয়ের কাজ চলে।
নগরীর কাপাসগোলা থেকে বহদ্দারহাট মোড় পর্যন্ত রাস্তার একপাশ সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাস্তার উভয়পাশে সিএনজি অটোরিকশার গ্যারেজ থাকায় অনেকেই রাস্তার ওপরে সিএনজি রেখে তা মেরামতের কাজ করে।
অপরিকল্পিত বাসস্ট্যান্ডের কারণে নগরীর চার প্রবেশমুখ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। নগরীর অক্সিজেন মোড়, শাহ আমানত সেতু চত্বর, কাপ্তাই রাস্তার মাথা এবং সিটি গেট-কর্নেল হাটে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া নগরীর জামালখান, দামপাড়া শিল্পকলা একাডেমী সংলগ্ন সড়ক, ওয়াসা সংলগ্ন সড়ক, নাসিরাবাদ সিঅ্যান্ডবি কলোনির মোড় প্রভৃতি এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত যানবাহন ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
ফুটপাত দখল
সাবেক সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীতে ফুটপাত দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলেও তা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই আবারো নগরীর স্টেশন রোডের পুরাতন রেল স্টেশন থেকে শুরু করে আমতলা মোড় পর্যন্ত পুরো এলাকায় ফুটপাত দখল হয়ে যায়। যেখানে হকার নেই সেখানকার ফুটপাত দখল করে আছে গাড়ি। বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়েই হাঁটতে হয় পথচারীকে। জিপিওর সামনের ফুটপাত দোকান ও ভাসমান হকারদের দখলে থাকে। আগ্রাবাদ ব্যাংক পাড়া, বাদামতলী মোড়, সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের সামনের সড়ক, ইপিজেড মোড় প্রভৃতি এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত এমনকি মূল সড়কগুলোও হকারদের দখলে।
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত
সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে গত সেপ্টেম্বর মাসে দুর্ঘটনার বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগে এ সময়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৯.৮৯ শতাংশ এবং প্রাণহানি হয়েছে ১৯ শতাংশ। একক জেলা হিসাবে চট্টগ্রাম জেলায় ৩১টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে পুলিশের থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, চট্টগ্রামে গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে ১২০ জন। আর ব্লুমবার্গ ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি-বিআইজিআরএস এর তথ্য বলছে, চট্টগ্রাম নগরীতে ২০২০ থেকে ২২ পর্যন্ত তিন বছরে সড়কে প্রাণ গেছে ২৬৩ জনের। এরমধ্যে টাইগার পাস, জিইসি, বায়েজিদসহ ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়েই প্রাণ গেছে ৩৮ জনের আর বহরদারহাট, মুরাদপুর, অলংকারের মত ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে প্রাণ গেছে ১৫৪ জনের।
অপরদিকে,বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি গত বছরের নভেম্বর মাসের সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চট্টগ্রামে ১২৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১৬ জনের। এ সময়ে তারা এসব দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কয়েকটি সুপারিশও তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস দেওয়া, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা ইত্যাদি। এই একই সংগঠন তাদের বার্ষিক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলেছে, গতবছরে (২০২৩ সাল) চট্টগ্রামের সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ১২০৫ জন।