সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
দলে যোগ দেয়ার পর প্রথম তিন ম্যাচে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) একাদশে ছিলেন না আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। মেসির অভিষেকে অপেক্ষায় ছিলো প্যারিসের ফুটবল ভক্তরা। অবশেষে ফরাসি লিগে পিএসজির চতুর্থ ম্যাচে অভিষেক ঘটলো মেসির। মেসির অভিষেক ম্যাচে ঝলক দেখালেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার জোড়া গোলে পিএসজি ২-০ গোলে হারিয়েছে রেইমসকে। ১৬ ও ৬৩ মিনিটে গোল দু’টি করেন এমবাপ্পে। গতরাতে রেইমসের মাঠে শুরুতেই একাদশে ছিলেন না মেসি। তাই ফুটবলপ্রেমিদের নজর ছিল পিএসজির বেঞ্চের দিকে। মেসির নামার অপেক্ষায় ছিলেন তারা। অবশেষে ৬৬ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের পরিবর্তে মাঠে নামেন মেসি। ততক্ষনে এমবাপ্পের দুই গোলে ম্যাচ জয়ের পথ তৈরি করে ফেলে মরিসিও পচেত্তিনোর দল। ১৬ মিনিটে পিএসজিকে প্রথম গোলের স্বাদ নেন এমবাপ্পে। ডান প্রান্ত দিয়ে আর্জেন্টিনার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ক্রসে হেডে গোল করেন এমবাপ্পে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন তিনি। এতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় পিএসজি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দাপট দেখানো পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য অব্যাহত রাখে। সেই সুবাদে ৬৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় তারা। ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে কাটিয়ে এমবাপ্পের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান আচরাফ হাকিমি। ফাঁকায় বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি এমাবাপ্পে। পিএসজির দ্বিতীয় গোলের ৩ মিনিট পর পুরো স্টেডিয়ামে আনন্দে মেতে উঠে। ম্যাচটি ছিলো পিএসজির প্রতিপক্ষ রেইমসের মাঠে। কিন্তু স্বাাগতিক দর্শকরাও মেসিকে স্বাগত জানাতে ভুল করেননি। গ্যালারি থেকে ‘মেসি..মেসি..মেসি’ চিৎকারে ফুটবল বিশ্বের ক্ষুদে যাদকুরকে বরণ করে নেয় প্যারিসবাসী। মাঠে নামার পর নিজেকে সতীর্থদের মানিয়ে নিতে মোটেও সময় ব্যয় করেননি মেসি। ৭১ মিনিটে রেইমসের একজনকে কাটিয়ে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে প্রবেশ করেন মেসি। এরপর বল দিয়েছিলেন এমবাপ্পেকে। পরবর্তীতে মেসিকে বল দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এমবাপ্পে। আর সেখানে ভেস্তে যায় মেসির করা আক্রমনটি। শেষদিকে, আবারো আক্রমনের চেষ্টা করেছিলেন মেসি। কিন্তু সেটিও কাজে না লাগলে, প্রথম ম্যাচে গোলবিহীনই ছিলেন মেসি। চার ম্যাচের সবক’টিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে শীর্ষে পিএসজি।