চট্টগ্রামে মেলার স্থায়ী ভেন্যু দরকার। খেলার মাঠে মেলা নয়। এটা দীর্ঘদিনের দাবি। খেলার মাঠে মেলা আয়োজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের সচেতন নাগরিকরা নানা আলোচনা-সমালোচনা করে আসছিলেন।
আইন অনুযায়ী খেলার মাঠ অন্য কোনো কাজে ব্যবহার, ভাড়া বা ইজারা দেওয়া অপরাধ। কিন্তু আইনের বিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বছরব্যাপী নানা ধরনের মেলার আয়োজন চলছেই।
খেলার মাঠে মেলা আয়োজন করায় তরুণ-কিশোররা খেলাধুলা করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে করে তরুণ-কিশোররা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িত হয়ে পড়ছে। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের নাগরিকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল- মেলা আয়োজনের জন্য স্থায়ী একটি ভেন্যুর। এ নিয়ে মেলার আয়োজকদেরও নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
চট্টগ্রাম নগওে মেলা আয়োজনের কোনো স্থান নেই। স্থায়ী ভেন্যু হলে এই সমস্যার একটি ভালো সমাধান হবে। ঢাকা ইতোমধ্যে একটি স্থায়ী ভেন্যু পেয়ে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত ৩০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে জানিয়েছেন আউটার রিং রোডের বে-টার্মিনালের উল্টোপাশে মেলার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে। ১০ একর জমি বরাদ্দের জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। মেলার স্থায়ী ভেন্যু নকশার কাজের প্রক্রিয়াও চলমান আছে। আগামী বছর থেকে সেখানে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
একটি স্থায়ী ভেন্যু হলে সব চেম্বার ও ব্যবসায়ী গ্রুপ একটি বছরভিত্তিক শিডিউল তৈরি করতে পারবে। এখন মেলা করতে গেলে প্রথমেই খেলার মাঠ কখন বরাদ্দ পাব তার ওপর নির্ভর করতে হয়। দ্বিতীয়ত বর্ষাকাল চলে আসলে মেলা আয়োজন করা যায় না। ফলেম মেলা আয়োজনের জন্য হাতে সময় থাকে খুব কম। স্থায়ী ভেন্যু হলে প্রস্তুতি নিতেও কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না।
এ মুহূর্তের সংবাদ