নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ :
টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিন ড্রাইভের চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের ঘটনার বিষয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে বাহারছড়া শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত সিআইসি অফিসে এ গণশুনানি বা গণসাক্ষী অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিন ড্রাইভে পুলিশের চেকপোস্টে সিনহা গুলিতে নিহত হন। সেই সময় বিভিন্নভাবে যেসব প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনা দেখেছিলেন, তারা সাক্ষী প্রদান করেছে। ওই চেকপোস্টের পাশাপাশি অবস্থিত হেফজখানার কয়েকজন শিক্ষার্থী যারা মসজিদের ছাদ থেকে সেদিনের ঘটনা দেখেছিল তারাও ঘটনার বিবরণ দেয় গণমাধ্যমের কাছে। গণশুনানিতে হাজারো উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। তারা পুলিশের বিভিন্ন হয়রানিমূলক কর্মকা-ের বর্ণনা প্রদান করে। এদিকে স্থানীয় জনতার দাবি, গণশুনানির মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে হবে। অদূর ভবিষ্যতে এরকম ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে নিশ্চিয়তা চায় জনতা। অতীতের বিচার বহির্ভূত হত্যা ‘কথিত বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক কারবারি নিহতের পর অনেক নিরপরাধ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে সেই মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা থেকে যাচাই-বাছাই করে ভুক্তভোগীদের রেহাই দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা। শত শত ভুক্তভোগীর অভিযোগ, টেকনাফ মডেল থানার মাধ্যমে নিরপরাধ মানুষকে মাদক, অস্ত্র, মানবপাচার, ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানিমূলক মামলায় হয়রানি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে অনেকে এখন বাড়িঘর, জমিজমা, গরু-ছাগল বিক্রি করে নিঃস্ব। তাদের দাবি, মাঠপর্যায়ে তদন্ত করে ভুক্তভোগীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।