নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক »
রাজনীতি, শিক্ষা, সাহিত্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের মত জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসেও চট্টগ্রামের নাম সবার উপরে। করোনায় স্থবির দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সচল করার লক্ষ্যে সংস্থার সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে আজ সন্ধ্যা ৬টায় বহু প্রতীক্ষিত মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্টের পর্দা উঠছে। যাকে ঘিরে স্থানীয় ফুটবলারদের মাঝে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি নেই। সেই সাথে দর্শকদের বিনোদনেরও একটা সুযোগ হতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশনায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সারা দেশে স্বাস্থবিধি মেনে সীমিত আকারে সারা দেশে জেলা ক্রীড়া পরিষদকে খেলাধূলা চালু করার অনুমতি দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে আয়োজকরা সতর্কতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। গ্যালারি ও প্যাভিলিয়নে বসার জন্য তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখার মার্কিং করা হয়েছে। আর পুরো স্টেডিয়ামের চতুর্দিকে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নাকর্মীরা পরিচ্ছন্ন কাজ সম্পন্ন করেছে।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থাই প্রথম সাড়া দিয়ে মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে। আজ এ ফুটবল টুর্নামেন্ট এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের আলোতে শুরু হচ্ছে। উদ্বোধনী খেলায় আবু তাহের পুতু ও রফিক আহমেদ চৌধুরী একাদশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। নির্ধারিত সময়ে খেলা ড্র হলে টাইব্রেকারে ফলাফল নিস্পত্তি হবে। এতে বিজয়ী দল ২ ও বিজিত দল ১ পয়েন্ট পাবে।
সন্ধ্যা ৬টায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে হিসেবে ১০ দিনব্যাপী টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করবেন। সংস্থার প্রয়াত চার সাধারণ সম্পাদকের নামে দলগুলোতে চট্টগ্রামের স্থায়ী জাতীয় দলসহ দেশসেরা ও প্রতিশ্রুতিবান একাধিক ফুটবলার অংশ নিচ্ছেন।
অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষকদের মাঝে সন্মানী হিসেবে প্রায় ১৫ লাখ টাকা দেয়া হবে। টুর্নামেন্টে চার দল সিঙ্গেল লিগ ভিত্তিতে খেলবে এবং শীর্ষস্থানীয় দল দল শিরোপার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ফাইনাল হবে ১৮ অক্টোবর।
এদিকে টুর্নামেন্ট উপলক্ষে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নানা রংয়ের ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিজেকেএস নির্বাহী কমিটি, কাউন্সিলর, ক্রীড়া সংগঠক, খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সচিব মো. শাহ জাহান অনুরোধ জানিয়েছেন।