২৪ ঘণ্টায় বিলাইছড়ি-রাঙামাটি-চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় গিয়েও মিলল না চিকিৎসা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি >
রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয়ের উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম করোনা উপসর্গ জ্বর ও কাশিতে ভুগে মারা গেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ব্যক্তি জীবনে আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী ও তিন কন্যা রয়েছে। দুই কন্যা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও এক কন্যা অনার্সের ছাত্রী। আনোয়ারুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর আলবনগর গ্রামে। পরিবারে তিনভাই ও ছয়জনের বোনের মধ্যে আনোয়ারুল ইসলাম বয়সে সবার বড় ছিলেন।
বিলাইছড়ি উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের কর্মচারী ক্যথুই প্রু মারমা জানান, বোরবার সকাল দশটার দিকে তিনি হঠাৎ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আমরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। পরে উনার অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাঙামাটিতে উনাকে নিয়ে যেতে রাত আটটা বেজে যায়। এরপরের বিষয়ে আমি কিছুই জানতে পারিনি।
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানিয়েছেন, বিলাইছড়ি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম কয়েকমাস আগে বিলাইছড়িতে যোগদান করেছেন। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে তিনি বিলাইছড়ির বাহিরে কোথাও যাননি। দিনের বেলা অফিস শেষে ডরমেটরিতেই থাকতেন। তিনি গত ১৫ দিন ধরে কাশিতে ভুগছিলেন। এজন্য তিনি ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ নিয়েছেন, তবুও কাশি ভালো হয়নি। মারা যাওয়ার দুইদিন আগে থেকে জ্বরে ভুগেন।
ইউএনও জানান, রোববার সকালে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্যপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের চিকিৎসকরা তাকে রাঙামাটিতে রেফার করেন। পরে অবস্থার অবনতি দেখে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (চমেক) নেওয়া হয়। রোববার সারারাত চেষ্টাকরেও কোন আইসিইউ না মেলাই ভোরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকায় নেয়া হয়। পরে সকালে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তিনি মারা যান।
প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলামের ছোট ভাই ও এলজিইডির কনসালটেন্ট মো. আলাউদ্দিন জানান, ‘সোমবার সকাল দশটার দিকে আমার ভাই মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর তার করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি বিলাইছড়িতে মার্চের ২৩/২৪ তারিখের দিকে যোগদান করেছিলেন।’