মিরসরাই ট্র্যাজেডির ৯ম বর্ষপূর্তি শনিবার

 মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিফলক আবেগ-(ফাইল ছবি)

নিজস্ব প্রতিনিধি, মিরসরাই:

মিরসরাই ট্র্যাজেডির সেই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা আজো মিরসরাইবাসীর মনকে ব্যথিত করে তোলে। এ ঘটনার নয় বছর হয়ে গেলেও আজো সব স্মৃতি যেন এতটুকু পরিমাণ মুছে যায়নি। স্বজনহারা মানুষগুলোর করুন আত্মনার্দ আজো থামেনি। যেন আবুতোরাবের এখনো লেপ্টে আছে শোকার্তদের চোখের জলের চিহৃ। ১১ গ্রামের শোকার্ত মানুষের কান্না আজো ভেসে আসে। যে কান্নার রোল থামানোর সাধ্য কারো নেই।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেক বছর মিরসরাই ট্র্যাজেডি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই বছর করোনা ভাইরাসের কারণে সংক্ষিপ্ত ভাবে কর্মসূচি পালন করা হবে।

উপজেলার মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির নিজামী জানান, করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে চলতি বছর সংড়্গিপ্ত আকারে মিরসরাই ট্র্যাজেডির কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে নিহতের স্মরণে স্ব স্ব ধর্মীয় রীতি অনুযায়ি প্রার্থনা করা হবে। পরে নিহত ছাত্রদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসত্মম্ভ ‘আবেগ’ ও ‘অনিত্মম’ এর স্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।

সেদিন যা ঘটেছিল :

১১ জুলাই ২০১১, সোমবার : মিরসরাই স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলা শেষে একটি মিনি ট্রাকে করে বিজয়ী এবং বিজিত উভয় দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকরা আবুতোরাব এলাকায় যাচ্ছিল। বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ডোবায় উল্টে যায় মিনিট্রাকটি। যার নম্বর চট্টমেট্রো – ড – ১১-০৩৩৭। ডোবার জল থেকে একে একে উঠে আসে লাশ আর লাশ। ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর রাত ৯ টায় নয়নশীলের প্রয়াণ পর্যনত্ম ৪৫টি মৃত্যু গুনতে হয়। সব মিলিয়ে ৪৫ জনের প্রাণের বিনিময়ে রচিত হয় মিরসরাই ট্র্যাজেডি।

সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নিহত হয় আবুতোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের। উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৪ শিক্ষার্থী প্রাণ হারায়।