মুখে নেই মাক্স, নেই সামাজিক দূরত্ব
নিজস্ব প্রতিবেদক, মিরসরাই
বাজার ভর্তি ক্রেতা বিক্রেতা। চলছে বিকিকিনি। কিন্ত ক্রেতা বিক্রেতার কারো মুখে নেই মাক্স। নেই সামাজিক দূরত্ব। স্বাস্থ্য বিধি মানার বালাই নেই। এভাবে চলছে মিরসরাইয়ের অধিকাংশ পশুর হাট। ফলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিস সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাইয়ে ৩১টি সরকার অনুমোদিত পশুর হাট রয়েছে। এসকল পশু হাট এক বছরের জন্য উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের মাধ্যমে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ করে ইজারা দেয়া হয়। যা থেকে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পেয়ে থাকে। বাজারগুলোতে সপ্তাহে একদিন পশুর হাট বসে। এগুলো ছাড়াও কোরবানির ঈদ উপলক্ষে প্রত্যেক বছর কিছু অস্থায়ী পশুর হাট বসে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় এসব হাটগুলো বসানো হয়ে থাকে।
রোববার বিকালে উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা বিক্রতা কারো মুখে নেই মাক্স। বাজারে আসা কেউ মানছে না সামাজিক দূরত্ব। একজনের গাঁ ঘেষে অন্যজন দাঁড়িয়ে পশুর বিকিকিনি চলছে। ফলে নিয়মিত বাড়ছে সংক্রমণ ঝুঁকি। মফিজ উদ্দিন (৬২) নামে একজন ক্রেতা বলেন, ছেলেদের নিয়ে কয়লা বাজারে কোরবানির পশু কিনতে এসেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুখে মাক্স দিলে নিশ্বাস নিতে একটু কষ্ট হয়। তাই মাক্স নিয়ে আসিনি।
উপজেলা স্বাস’্য কমপেস্নক্সের পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস’্য কমপেস্নক্সের মাধ্যমে গত রবিবার পর্যন্ত ৩ শত ৮১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে পজেটিভ এসেছে ১২৭ জনের। করোনা আক্রান্তদের অধিকাংশ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।
উপজেলা স্বাস’্য কমপেস্নক্সের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, স্বাস’্য কমপেস্নক্সে ১৬ বেডের আইসোলেশনে এই পর্যন্ত ২৯ জন করোনা রোগী ভর্তি ছিল। তাদের মধ্যে সুস’ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২০জন। চিকিৎসাধীন রয়েছে ৯ জন। গত রবিবার সর্বশেষ ১৪ জনের শরীরের কোভিড-১৯ এর উপসি’তি পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল পোদ্দার জানান, প্রত্যেকটি পশুর হাটে একটি করে মেডিক্যাল টিম থাকবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে পশুর চিকিৎসা দেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, কোরবানি পশুর হাটের বিষয়ে সরকারি কোন নির্দেশনা এখনো আমার কাছে এসে পৌছায়নি। তবুও হাট ইজারাদারদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে পশু বিকিকিনি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।