মিরসরাইয়ের অজপাড়া গাঁয়ে মিনি গার্মেন্টস

স্বাবলম্বী গ্রামীণ নারীরা

রাজু কুমার দে, মিরসরাই »

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অজপাঁড়া গায়ে গড়ে উঠেছে একটি মিনি গার্মেন্টস। ‘রহমানিয়া গার্মেন্টস’ নামে ওই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কাজ করছে ২৫জন গ্রামীণ নারী। যারা ওই গার্মেন্টেসে বিনামূল্যে কাজ শিখে বর্তমানে উৎপাদন মজুরির পেয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে। প্রায় ১২ বছর আগে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামে মিনি গার্মেন্টসটি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় যুবক মোঃ মিজানূর রহমান।
রহমানিয়া গার্র্মেন্টস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর আগে দুইটি মেশিন দিয়ে ১ লাখ টাকা পুঁজিতে পোশাক কারখানা শুরু করেন জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামের যুবক মোঃ মিজানূর রহমান। ধীরে ধীরে ওই প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় বেকার নিম্ম ও মধ্যবিত্ত নারীদের সেলাই কাজ শেখানো হয়। পরে ওই প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন মজুরির মাধ্যমে চাকুরি দেয়া হয়। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানে ২৫ জন নারী কাজ করছে। ১২ বছর আগে ১ লাখ টাকা দিয়ে শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান মূলধন দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ টাকা। স্থানীয়রা প্রতিষ্ঠানটিকে মিনি গার্মেন্টস নাম দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে মহিলাদের ব্লাউজ, পেটিকোট, প্লাজু, ম্যাক্সি ও শিশুদের পোশাক তৈরি করা হয়। উৎপাদিত এসব পোশাক চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার বিভিন্ন স্থানে পাইকারি সরবরাহ করা হয়। দৈনিক ৩শত পিস হারে মাসে উৎপাদন হয় ৯ হাজার পিস পোশাক। যা থেকে মিজানূর রহমানের মাসিক আয় হয় ৫০ হাজার টাকা।
কামরুন নাহার ঝর্র্ণা নামে এক নারী জানান, তিনি প্রায় দুই বছর আগে রহমানিয়া গার্মেন্টসে বিনামূল্যে বিভিন্ন পোশাক তৈরির কাজ শেখেন। গত কয়েক মাস আগে উৎপাদন মজুরির বিনিময়ে এখানে কাজ শুরু করেন। দৈনিক ৩শত থেকে ৫শত টাকা পর্যন্ত তিনি আয় করে থাকেন।
তামান্না আক্তার নামে আরেক নারী জানান, তিনি রহমানিয়া গার্মেন্টসে বিনামূল্যে ব্লাউজ, পেটিকোটসহ বিভিন্ন পোশাক তৈরির কাজ শিখেছেন। এখন তিনি মাসে ৮-১০ হাজার টাকা আয় করে থাকেন। যা দিয়ে তার সংসার চলে।
জানতে চাইলে ‘রহমানিয়া গার্মেন্টস’ এর উদ্যোক্তা মোঃ মিজানূর রহমান বলেন, আমি এলাকার বেকার নিম্ম ও মধ্যবিত্ত নারীদের স্বাবলম্বী করতে প্রায় ১২ বছর আগে রহমানিয়া গার্মেন্টসটি প্রতিষ্ঠা করি। শুরুতে মাত্র ২টি মেশিন দিয়ে মাত্র ১ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করি। বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানে ২৫ জন গ্রামীণ নারী কাজ করছে। ১ লাখ টাকা থেকে পুঁজি দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ টাকা। প্রতি মাসে আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় হয়।