মিরপুরে কিউইরা যা পেলো, সবাই পায় না

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক  »

সফরকারী দল সাধারণত সেন্টার উইকেটে অনুশীলনের সুযোগ পায় না। স্বাগতিক দলই এই সুযোগটা পেয়ে থাকে। অতীতেও এমনটা দেখা গেছে। কিন্তু সোমবার অতীত ইতিহাস পাল্টে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন সেরেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। কয়েক সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলও খেলে গেছে মিরপুরে। বড় দল হলেও সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করার সুযোগ পায়নি তারা। সাধারণ হিসাবে এমন সুযোগ আসলে পায় না সফরকারী কোনও দলই। কেবলমাত্র মূল মাঠে ফিল্ডিং অনুশীলন করার সুযোগই দেওয়া হয় সফরকারীদের। কিন্তু সোমবার সকাল ১০টার অনুশীলনে নিউজিল্যান্ড দল মিরপুরের সেন্টার উইকেট বানিয়ে ফেলে প্রস্তুতির মঞ্চ!

শুরুতে বিকেএসপিতে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল কিউইদের। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রস্তুতি ম্যাচটি বাতিল করে সফরকারীরা। এই কারণে প্রস্তুতির ঘাটতি কাটাতে সেন্টার উইকেটে ম্যাচ খেলার অনুমতি চেয়েছিল কিউইরা। সফরকারীদের সেই অনুমতিও দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু রবিবার নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলে সোমবার অনুশীলন করেই কাটিয়েছে তারা। নিউজিল্যান্ড দলের সেন্টার উইকেট ব্যবহার নিয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দল গত পরশু সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করেছে। গতকাল (রবিবার) মিরপুর স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিল ওরা। যেহেতু ওরা গতকাল প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলেনি, ওরা অনুরোধ করেছিল আজ (সোমবার) যেন সেন্টার উইকেটে ওদের অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হয়। সেটার ভিত্তিতেই তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।‘

অস্ট্রেলিয়া কিংবা অন্য কোনও দল এমন আবদার করেনি। তাই তাদের সেই অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নও ওঠেনি। আকরামের ভাষায়, ‘অস্ট্রেলিয়ার এমন কোনও চাওয়া ছিল না। তারা আমাদেরকে এমন কোনও অনুরোধ করেনি। কোনও দল চাইলে একটা ম্যাচ খেলার জন্য আমরা এই অনুমতি দিয়ে থাকি। এ কারণেই নিউজিল্যান্ডকে অনুমতি দেওয়া।’ বছরখানেক আগে রবি বোপারা মিরপুরের উইকেট নিয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে নেট উইকেটগুলো মূল উইকেটের মতো নয়। নেটে প্র্যাকটিস করে মাঠের উইকেট সম্পর্কে ধারণা পাওয়া খুব কঠিন।’ নিউজিল্যান্ড দল কি বোপারার সেই কথাটা স্মরণ করেই সেন্টার উইকেট পরখ করে নিলো? তাতে হয়তো ম্যাচ উইকেটের ধারণাও পেয়েছে কিউইরা। সেই বিবেচনায় সফরকারীদের লাভ হয়েছে তো অবশ্যই। আর বাংলাদেশের? ম্যাচের দুই দিন আগে সেন্টার উইকেটে প্রতিপক্ষকে সুযোগ দিয়ে তো ‘নিজের পায়ে কুড়াল মারা’ হলো না!