ডেস্ক রিপোর্ট »
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আবারও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ করেছেন দেশটির সেনাবাহিনীর তিন সদস্য।
শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে সশস্ত্র অবস্থায় তাঁরা কোনারপাড়ার সীমান্ত দিয়ে ঢুকে প্রথমে এক বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের পাশের বিজিবি সীমান্তচৌকির হাতে তুলে দেন। তাদেরকে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ ব্যাটালিয়ন দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার ঘুমধুম কোনারপাড়া এলাকার লোকজন জানান, হাতে অস্ত্র নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে কোনারপাড়ার হাফেজ আবুল কালামের বাড়িতে আসেন ওই তিন সেনাসদস্য। তাঁরা খুবই ক্ষুধার্ত ও বিধ্বস্ত ছিলেন। হাফেজ আবুল কালামের পরিবারের সদস্যরা তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে খবর দিলে বিজিবি এসে তাদের নিয়ে যায়।ঁ
পালিয়ে আসা তিনজনের মধ্যে মেজর, ক্যাপ্টেন ও সার্জেন্ট র্যাঙ্কের তিন সামরিক সদস্য আছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা তিনজন কোনোমতে পালিয়ে জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন।
মিয়ানমারের মেজর, ক্যাপ্টেন ও সার্জেন্ট র্যাঙ্কের তিন সামরিক সদস্য নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে দেশটিতে ফেরত পাঠিয়েছিল সরকার।
তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
এরপর ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিল ১৭৯ জন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা। তাদেরকেও বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ ব্যাটালিয়নে রাখা হয়েছে। তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনী ও বিজিপির সংঘর্ষ চলে আসছে। বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তচৌকিগুলো বর্তমানে আরাকান আর্মির দখলে। ফলে মংডু জেলা শহরের কাছাকাছি এলাকার বিজিপি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। মংডু জেলা শহরের সঙ্গে রাখাইনের বুচিডং ও রাচিডংয়ের স্থল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।