চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের জন্য ৭টি ভেন্টিলেটর প্রদান করেছে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেড। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আজ ২৪ জুন (বুধবার) হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ।
প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের পক্ষে ভেন্টিলেটর হস্তান্তর করেন জেনারেল ম্যানেজার জুবায়ের আলম, এসএম নাসির উদ্দিন আল মামুন, সিএফও গোলাম কিবরিয়া এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মনজুর হোসেন।
এছাড়া কেডিএস গ্রুপের পক্ষ থেকে ৩টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ইনার হুইল ক্লাবের পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা ও সাজেদা বেগমের পক্ষে তার স্বামী ওমর ফারুক চৌধুরী সবুজ ২ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন।
কেডিএস গ্রুপের পক্ষে অনুদান হস্তান্তর করেন বিভাগীয় প্রধান (এইচআর) সাইফুল আবেদীন এবং ইনার হুইল ক্লাবের পক্ষে ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর।
হাসপাতালের পক্ষে অনুদান গ্রহণ করেন কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম মোরশেদ হোসেন ও ট্রেজারার মো. রেজাউল করিম আজাদ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডোনার সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. জাবেদ আবছার চৌধুরী, ডা. মো. পারভেজ ইকবাল শরীফ, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ, মো. আহছান উল্যাহ, মো. হারুন ইউছুপ, এম জাকির হোসেন তালুকদার, বিভাগীয় প্রধান (এনেসথেসিওলজি) ডা. অলক নন্দী, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ কে এম আশরফুল করিম, বিভাগীয় প্রধান (অনকোলজি) ডা. শেফাতুজ্জাহান প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম মোরশেদ হোসেন বলেন, এই সংকটময় মুহূর্তে হাসপাতালের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার জন্য প্রিমিয়ার সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ, কেডিএস গ্রুপ, ইনার হুইল ক্লাব এবং সম্মানিত দাতাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
হাসপাতালের কার্যনির্বাহী ট্রেজারার মো. রেজাউল করিম আজাদ বলেন, চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালই প্রথম নিজ উদ্যোগে করোনা ইউনিট চালু করার জন্য সরকারের নিকট আবেদন করে। তিনি তার ডাকে সাড়া দিয়ে যে সকল দাতা/প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য একজন দাতা আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। যার মাধ্যমে খুব শীঘ্রই চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার এসএম নাসির উদ্দিন আল মামুন বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেটি নিজ উদ্যোগে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছে। তাই আমরা মা ও শিশু হাসপাতালের সাথে একাত্ম হয়ে জনগণের কল্যাণে এগিয়ে এসেছি। তিনি ভবিষ্যতেও হাসপাতালের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। সমাজের বিভিন্ন দাতা সংস্থা এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিদের হাসপাতালের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।
এছাড়া হাসপাতালের পক্ষে আরো বক্তব্য রাখেন ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর ও ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ।
প্রধান অতিথি এবিএম আজাদ তার বক্তব্যে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের হার বেশি। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরই চট্টগ্রামের মানুষ চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের স্মরণাপন্ন হন। এই দুর্যোগ মুহূর্তে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক চিকিৎসা সেবা দেয়া থেকে বিরত থাকলেও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসায় তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রাপ্তিতে যাবতীয় চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর