সাতকানিয়ায় শফিকুল হত্যা মামলায় আসামির স্বীকারোক্তি জবানবন্দি
নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া:
সাতকানিয়ায় গাড়ি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ওরফে মিয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামি গ্রেফতার ছৈয়দ করিমের স্বীকারোক্তি জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বুধবার রাতে মো. রুবেল (২২) নামে ঘটনার আরেক আসামিকে গ্রেফতার করেছে সাতকানিয়া থানা পুলিশ।
আলীকদম থানার সদর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ পূর্ব পালং পাড়ার মৃত আবু তাহেরের ছেলে রুবেলকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ২ জনের মধ্যে মো. রুবেল গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ খন্দকারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে জবানবন্দিতে রুবেল ম্যাজিস্ট্রেটকে জানায়, মোটরসাইকেলের মালিক ও অন্যদের মারধর সহ্য করতে না পেরে সে ও ছৈয়দ করিম পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর সুযোগ বুঝে বাইক মালিকের হাতে আটক সঙ্গিকে মুক্ত করতে ২ জন ঘটনাস্থলে গিয়ে লোহার রড দিয়ে উপস্থিত সবাইকে বেধড়ক পিটিয়ে সঙ্গিকে উদ্ধার করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই মোটরসাইকেলটি ঈদগাঁয় বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা ভাগে পায়। পরে তারা শুনেছে মিয়া নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২৪ অক্টোবর কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের কেঁওচিয়া বন গবেষণা কেন্দ্র নামক স্থানে গাড়ি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ওরফে মিয়াকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। ওইদিনই নিহতের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম সবুজ বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মামলার আসামিদের গ্রেফতারে সমর্থ হয়েছেন।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন আদালতে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালত জেলহাজতে পাঠান।