মারাই গেলেন গুলিবিদ্ধ ইউপি চেয়ারম্যান আতুমং মারমা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি »

রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনের দিন সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার বড়তলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতুমং মারমা (৫১) শেষ পর্যন্ত মারাই গেলেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১১.৪৮ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের পুনরায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচঙ্গ্যা।

চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচঙ্গ্যা জানিয়েছেন, সে আহত হওয়ার পর থেকেই চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন ছিলো। আজ রাতে তার সাথে থাকা ওয়ার্ড মেম্বার ও স্বজনরা ফোন করে জানিয়েছেন তিনি সেখানেই মারা গেছেন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটায় বড়থলী পাড়ায় গুর্লিবিদ্ধ হয়েছিলেন আতুমং। ওই সময় বড়থলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বড়থলী পাড়ার একটি বাড়িতে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আতুমং মারমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। পরে বুধবার ভোর ৬টায় বান্দরবান জেলার রুমা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রুবেল জানিয়েছিলেন, রোগীর গায়ে দুটি গুলি লেগেছে। তার মধ্যে হাতে গুলিটা ঢুকে বের হয়ে গেছে। তবে পায়ের উরুতে গুলি থেকে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ আতুমং চেয়ারম্যানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।

তবে এই ঘটনার জন্য আহত আতুমং মারমা তাঁর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াইবা ত্রিপুরাকে (৫০) দোষারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ওয়াইবা ত্রিপুরা তাঁকে গুলি করেছে। তবে কোন কারণে কেন গুলি করেছিল তা জানাতে পারেননি তিনি।

গুলিবর্ষনের ঘটনার পর বিলাইছড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুৃলিশের এএসপি মো. আবুল কাশেম চৌধুরী জানিয়েছিলেন, গুলিবিদ্ধ আতুমং চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে। চিকিৎসা করে ফিরে আসার পর মামলা হবে। তদন্ত করার পর এই ঘটনা কেন ঘটিয়েছে জানা যাবে।