খন রঞ্জন রায় »
মানুষের জীবনমান-দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন, টেকসই উন্নয়ন, রোগ বালাই দমন ও চিকিৎসাসেবা, শিক্ষার প্রসার ও নিরক্ষরতা দূরীকরণ, মাতৃ-প্রসূতি ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ দৃষ্টি, জলবায়ু ও পরিবেশ সুরক্ষার মাধ্যমে সুপেয় পানীয় জলের নিশ্চিতকরণ, মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতির মাধ্যমে সমাজের সার্বিক প্রগতির লক্ষ্যে ‘রোটারি’ আলোর দিশারী হিসাবে ১৯০৫ সাল থেকে ঐকান্তিকভাবে বিশ্বব্যাপি ঐতিহাসিক স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করে আসছে।
বাংলাদেশের বর্তমান দুরন্ত-দুর্দান্ত-সর্বান্ত উন্নয়নের যে দ্বৈরথ চলছে যে সমস্ত কর্মকা- ও কর্মসূচি ব্যাপক আলোচনার শীর্ষ স্থানে তার বেশির ভাগেরই পথপ্রদর্শক দেশের রোটারি ক্লাব, সাথে অর্থ যোগান দাতা হিসাবে স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল রোটারি আন্তর্জাতিক। এই মুহুর্তে দেশের সবচেয়ে আলোচিত আকাক্সক্ষার- দুঃসাহসী-কর্মসূচি গৃহহীন-ভূমিহীন, অসচ্ছল নিঃস্ব দুস্থদের গৃহদান প্রকল্প। দেশব্যাপী প্রায় তের লাখ পরিবারকে সুনির্দিষ্ট কাঠামো মাপ ও দৈর্ঘ্য-প্রস্থে, রঙ নির্ধারণ করা ঘর লক্ষাধিক হস্তান্তর হয়েছে। এই নিয়ে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলেও দেশের সমগ্র গৃহহীনদের নিয়ে এই মহাপরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী মানবিক সংগঠনসমূহ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। হওয়ারও কথা। বিশ্বের অনেক দেশের জনসংখ্যা যেখানে ১৫ লাখের কম, সেখানে বাংলাদেশে এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে ঘর প্রদান এক মানবিক পরিকল্পনার অংশ। আনন্দের সাথে গর্ব ও গৌরবের সাথে তথ্য দিচ্ছে যে, এই গৃহদান, গুচ্ছগ্রাম কর্মসূচির চুলচেরা বিশ্লেষণাত্মক পরিকল্পনা আশির দশকে রোটারি ক্লাব শুরু করেছিল। উদ্দেশ্য গৃহহীনে গৃহদান। শুধু তাই নয়, ফুট-মিটার জায়গার মাপজোক হিসাবে খরচের অংক কষে রোটারি ক্লাব নিজেরা নিদর্শন চালু করে, অন্যান্য সামাজিক সংগঠন ও সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিল। মানবদরদী মানবতাবাদী অনেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে একটা-দুইটা করে গৃহ নির্মাণ ও হস্তান্তর করে আসছিল। শেষ পর্যন্ত মুক্তির দিশারী সরকার তা পরিপূর্ণ করে পূর্ণতা দিচ্ছে।
পিছিয়েপড়া চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রেও রোটারি তাঁদের তীক্ষ্ম দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছিল। সারা দেশে হাজার হাজার ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র স্যাটেলাইট চিকিৎসা সেবাদানের জন্য সেন্টার রোটারি ক্লাবসমূহই শুরু ও চালু করেছিল। এখনো অনেক ক্লাব এই মহতী-নিঃস্বার্থী কার্যক্রম চালু রেখেছে। অনেক ক্লাব প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বৃহৎ পরিসরে স্থাপনা নির্মাণ করে বেড হিসাবে হাসপাতাল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নিজেদের উজাড় করে মানবকল্যাণ এগিয়ে এসেছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জের দুর্গম অষ্টগ্রামে জলবায়ু সহনীয় ২ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল, যশোরে ৫ তলা বিশিষ্ট স্থাপনায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম, কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন, রাজশাহী ক্যান্সার হাসপাতাল, কুষ্টিয়ার পূর্ণাঙ্গ চক্ষু হাসপাতাল, শেরপুরে রয়েছে স্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্র, চন্দ্রঘোনা ক্রিশ্চিয়ান হাসপাতালের নার্সদের জন্য ৬ তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি নির্মাণ, ইত্যাদি নিত্যকার সেবাকর্ম। ক্যাটার্যাক্ট রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশন, ঠোঁট ও তালুকাটা রোগীর অপারেশন এইসব জটিল কঠিন কাজও প্রায় প্রতিটি জেলাতে নিয়মিত প্রতিবছর আয়োজন করে রোটারিয়ানগণ। বর্তমান চলামন করোনা পরিস্থিতির সময়ে আইসিইউ ভেন্টিলেটর, বাই পাম্প মেশিন, ডায়ালাইসিস মেশিন প্রদান করেছে এক দাগে ১৬ কোটি, অন্য দাগে ৬ কোটি টাকা মূল্যের। এর বাইরে অক্সিজেন সিলিন্ডার, পিপি, মাস্ক, সেনিটাইজার ইত্যাদি প্রতিটি ক্লাব যার যার সামর্থ্যমতো প্রদানে দ্রুত এগিয়ে এসেছিল। বাংলাদেশে যখন ক্যান্সার বিষয়ক পরিপূর্ণ কোন চিকিৎসা সেবা চালু করা যায় নাই বা হয় নাই তখন ঢাকার মহাখালীতে রোটারি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে ক্যান্সার চিকিৎসা সংক্রান্ত স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল। পরবর্তীতে সরকার তা অধিগ্রহণ করে। বর্তমানে দেশের এই চিকিৎসা ও গবেষণার একমাত্র পরিপূর্ণ পূর্ণাঙ্গ জাতীয় প্রতিষ্ঠান এটি।
বাংলাদেশসহ বিশ্ব থেকে পোলিওরোগমুক্ত করার প্রথম দুঃসাহসী কার্যক্রম গ্রহণ করা সংগঠন রোটারি আন্তর্জাতিক। ১৯৭৯ সালে ফিলিপাইনের ৬ লাখ শিশুকে বিনামূল্যে পোলিও টিকা খাওয়ানোর মাধ্যমে সাহসী এই কাজ সূচনা করে। ১৯৮৮ সালে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব পোলিওমুক্তির লক্ষ্য নির্ধারণ করে। ১৯৯৫ সালে আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক, আঞ্চলিক বিবেচনায় টিকাদান সংক্রান্ত জটিল এই কাজে সম্পৃক্ত করে, সংযুক্ত হয়। ইপিআই, ইউনিসেফ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, সিডিসি জাপানসহ কিছু সরকার ও রাষ্ট্র। কিন্তু পোলিও খাওয়ানোর মূল উপাদান ‘টিকা’ রোটারি হস্তান্তর করেনি। নির্মূলে মূল হিসাবে গচ্ছিত রেখেছে। এ পর্যন্ত খরচ করেছে ১৮ হাজার কোটি টাকা বা ১.৩ বিলিয়ন ডলার। বিশ্ব পোলিওমুক্তকরণ খাতে প্রয়োজনে আরো অর্থ বরাদ্দ করবে এই প্রত্যয় রোটারির রয়েছে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের কয়েকটি প্রদেশের গুটিকয় দুর্গম এলাকার সামাজিক সহিংসতার জন্য টিকাদান কর্মীরা যেতে পারে না বলে এই দুই স্থানে অল্প কিছু পোলিও লুকিয়ে আছে। বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব ২০০৬ সাল থেকেই এই ভাইরাস মুক্তির প্রহর গুনছে। দুর্গম দুঃসাহসী দীর্ঘ এই যাত্রায় রোটারি হারিয়েছে তাঁর নিবেদিতপ্রাণ অনেক কর্মীকে।
মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ বাঙালির প্রিয় খাবার। বর্তমানে মিঠা পানির প্রায় শতভাগ মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে মাছ চাষ প্রকল্প প্রথম শুরু করে রোটারি। মাছকে আলাদা খাবার দিতে হয়, অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয় পুকুরে, জলাশয়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় নানান কাজকাম জানতে হয়, করতে হয়, তা ছিল এদেশের মানুষের কাছে বিস্ময়ের বস্তু, অকল্পনীয়-অভাবনীয়। রেনু পোনা উৎপন্ন করেছে, হ্যাচারি সাজিয়েছে, পুকুরে বাড়তি খাবার ছিটিয়েছে, মাছ দ্রুত বড় হয়েছে, সেই মাছ কেউ খেতে চায় না, বুঝিয়ে শুনিয়ে তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করে সহযোগিতা নিয়ে সেই চাষ মাছ খাওয়ানো শিখিয়েছে রোটারি ক্লাব। ১৯৮৪ সালের তৎসময়ে এই প্রকল্পে ৩ কোটি টাকা ব্যয় করে ঝক্কিঝামেলা, অবহেলা, গঞ্জনা, অপবাদ সহ্য করে মাছ চাষের অগ্রপথিক হয়েছে কুমিল্লা রোটারি ক্লাব।
দেশে সাইক্লোন সেন্টার। তারও দিশারী- রোটারি। ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে নিঃস্ব, সর্বস্বান্ত ভোলার মনপুরাতে দুর্যোগ সহনীয় যুগোপযোগী স্থায়ী নকশা প্রণয়নসহ প্রথম এই সেন্টার প্রতিষ্ঠার নিশানা জানায় রোটারি। তৈরি করে ৫৫০ টি সেল্টার সেন্টার। এরপর থেকে অদ্যাবধি এই কার্যক্রম চলমান। পথযাত্রীদের সামান্যতম বিশ্রামের কল্পনা “যাত্রী ছাউনি”, গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে গবাদি পশু বিতরণ করে মোটাতাজাকরণ, দরিদ্রদের মাঝে জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে প্রথমে চালু করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, করে চলছে। রোটারিয়ানদের দেখিয়ে দেয়া পদাংক অনুসরণ করে অনুপ্রাণিত হয়ে, আকর্ষণ অনুভব করে সৃষ্টিশীল এই সমস্ত সেবাকাজে অনেকেই যুক্ত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পরিম-লের বাইরে ১৯৩৭ সন থেকে রোটারি এই ভূখ-ের জীবনমান উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সরকারকে সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যক্তি ও ক্লাব পর্যায়ে প্রভূত ভূমিকা পালন করে আসছে। দৃশ্যমান-নান্দনিক-সৃজনীশক্তির প্রথম কাজ ছিল ১৯৩৯ সালে ঢাকার ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে আধুনিকায়ন। এরপর থেকে পুরো বাংলাজুড়েই রোটারিয়ানদের মেধা-মনন, চিন্তা-চেতনা, ধ্যানে-জ্ঞানে, ক্ষুধা-দারিদ্র্য, অশিক্ষা-কুশিক্ষা, স্বাস্থ্য-সম্পদে সকল নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা। নিরন্তর সেই প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। জুলাই এ প্রতি রোটাবর্ষ শুরুতে নতুন উদ্যমে, নতুন ভাবনায়, নতুন পরিকল্পনায়, নতুন স্লোগানের মাধ্যমে সারাবিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নে উদাহরণ সৃষ্টির মতো মানবিক কিছু কাজ হাতে নিয়ে থাকে। বাস্তবায়ন করতে বর্তমান বাংলাদেশের রোটারির সাংগঠনিক কাঠামোয় দুই জেলা ভাগে প্রায় সাড়ে চারশত রোটারি ক্লাবের ১৬ হাজার রোটারিয়ানকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়। রোটারি আন্তর্জাতিক সাংগঠনিক কাঠামোয় বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ৫৩৭ টি জেলা ভাগে ১২ লক্ষ রোটারিয়ানকে একত্রে-একসাথে একই চিন্তাশক্তির সেবাকর্ম সামর্থ্য অনুযায়ী করার অঙ্গীকার করানো হয়। চট্টগ্রাম সাগরিকা রোটারি ক্লাব গেল বছর সুনির্দিষ্ট করা কর্মসূচির আওতায় রোটারি আন্তর্জাতিক থেকে ৪৫ লাখ টাকা অনুদানসহ স্থানীয়ভাবে আরো তহবিল ব্যবস্থা করে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী জনসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি পৌরভবনে, বোয়ালখালির হাওলা দরবার শরীফ এলাকায় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে তিনটি ফিজিওথেরাপিও জেরিয়াট্রিক কেয়ার সেন্টার চালু করেছে। বর্তমান মহামারীর এই দুর্যোগকালীন সময়েও স্বল্প ও বিনামূল্যের এই সমস্ত সেন্টারে আগত সেবা প্রার্থীর কর্মমুখর দিন অতিবাহিত হচ্ছে। আর্থিকভাবে দুর্বল অথচ শিক্ষা বিস্তারে প্রভূত ভূমিকা রাখছে, দেশব্যাপী এমন ৫০০ টি বেসরকারি প্রাথমিক-মাধ্যমিক-মাদ্রাসার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত “কমফোর্ট সেন্টার” প্রতিষ্ঠা করা হবে। ঐ সমস্ত সেল্টােের ছাত্রছাত্রীদের নূন্যতম স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশনসহ টয়লেট ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে চালু থাকবে। ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রয়োজনে “রোটারি স্কুল অব উইমেন্স এন্টাপ্রেনিউর” স্থাপন করা হবে। স্বাস্থ্য, পরিবেশ উন্নয়ন, জরুরি সেবা ইত্যাদি বিষয়েও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসহ সুসজ্জিত অবকাঠামোর সুসংহত পরিকল্পনায় মানবতার সেবাকে উৎসাহিত করা হবে। এছাড়া কৃষি, যুবকল্যাণ, অন্ধত্ব নিবারণে চলমান সেবা প্রকল্পসমূহ আরো সম্প্রসারিত ও গতিশীল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। হাজারো দুঃখী মানুষের জীবনে হাসি ফুটানোর “স্বার্থের ঊর্ধ্বে সেবায় ব্রতী” হওয়ার অনুপ্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে রোটারিয়ান, রোটারি ক্লাব এবং রোটারি আন্তর্জাতিক।
দেশব্যাপী বিশাল এই কর্মযজ্ঞ পরিচালনায় এবারের রোটারি আলাদা অন্যরকম মর্যাদা অর্জন করেছে। গর্বÑগৌরব ও অহংকারের বিষয় যে সারা পৃথিবীর রোটারি নেতৃত্বের প্রধান ভূমিকা পালনকারী আন্তর্জাতিক প্রেসিডেন্ট ‘শেখর মেহতা’ একজন বাঙালি, বাংলা ভাষাভাষি। রোটারির ১১৭ বছরের ইতিহাসে বিরল এই সুযোগপ্রাপ্তির যুগসন্ধিক্ষণে দেশের রোটারিয়ানগণ বিশেষ আবেগে তাড়িত ও উচ্ছ্বসিত। “মানুষের জীবন বদলানোর জন্য সেবা” এই মাহাত্মকে হৃদয়ে লালন করে, ধারণ করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে রোটারি। অগ্রযাত্রার এই প্রত্যাশা অমূলক নয়।
লেখক : অতীত সভাপতি, রোটারি সাগরিকা