নিজস্ব প্রতিনিধি, মানিকছড়ি »
আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার এই প্রতিপাদ্যে সারাদেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমি ও গৃহহীন অসহায় পরিবারকে দুশতক ভূমি ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সেমিপাকা ঘর দিয়ে মাথাগোঁজার ঠাঁই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে সারাদেশে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ে ৬৫ হাজার ৬৭৪টি ঘরের মধ্যে ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর ২৬ এপ্রিল সুবিধাভোগী পরিবারে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে নির্মিত ৩য় ধাপের ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর ‘ঈদ উপহার’ হিসেবে ভূমি ও গৃহহীন এবং দুস্থ পরিবারে হস্তান্তর উপলক্ষে গণভবনে এক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে চাবি তুলে দেন। খাগড়াছড়ি জেলার ৯ উপজেলায় ৩য় ধাপের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিতে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
মানিকছড়ি উপজেলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. তহিদ উদজামান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রক্তিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন। বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম. এ. রাজ্জাক, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সফিউল আলম চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম, হেডম্যান কংজরী চৌধুরী, সুবিধাভোগী মো. রিপন ও সোনিয়া আক্তার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ, ক্যয়জরী মহাজনসহ সকল ইউপি সদস্য, হেডম্যান, সুধীজন ও সাংবাদিকবৃন্দ।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ইতোমধ্যে ১ম ও ২য় পর্যায়ে ৬০০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার তুলে দেয়া হয়েছে। ৩য় পর্যায়ে ৭২টি ঘরের চলমান কাজ শেষে ৩৫টি ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয়। অবশিষ্ট ৩৭টি অচিরেই কাজ শেষে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দরিদ্র ও অসহায় মানুষের বেদনা বুঝেন বলেই দেশের ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। যা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাহসী উদ্যোগ ও অসহায় মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসার ফসল এই ভূমি ও গৃহহীন পরিবারে ঈদ উপহার প্রদান।
উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীন পরিবার যাচাই করতে জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। যাতে আমরা বলতে পারি, উপজেলায় একজন মানুষও ভূমিহীন, গৃহহীন নেই। প্রধানমন্ত্রীর এই মহতী উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।