নিজস্ব প্রতিবেদক »
‘ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। তারা আগামী নির্বাচনকে টার্গেট দিয়েছে। তারা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়েছে। তারা বাংলাদেশের কিছু কিছু জায়গায় সভা-সমাবেশ করছে। আবার তারা প্রচার করছে সাধারণ মানুষ নাকি তাদের সভা সমাবেশে যোগ দিয়েছে। জানি না কিসের ভিত্তিতে তারা এ ধরনের কথা বলছে। তাদের সমাবেশে যদি জনগণের সম্পৃক্ততা থাকে, তাহলে তারা ভয় পাচ্ছে কেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য? নয়াপল্টন কেন তারা বেছে নিয়েছে? সুতরাং ভাওতাবাজির দিন শেষ। বলতে চাই, আজকে থেকে থাকবো মাঠে, তারা যাবে ঘরে।’
রোববার দুপুর আড়াইটায় পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বাবু এ ঘোষণা দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এই জনসভায় শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি জাতীয় চার নেতাকে। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি ৩০ লাখ শহীদদের। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি প্রিয় পিতা মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুকে। আজকে আনন্দিত, উল্লাসিত। দীর্ঘ ২ বছর এই করোনা মহামারির পর জীবনযাত্রা যখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, ঠিক সেই মুহূর্তে নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামবাসীর কাছে ছুটে এসেছেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘নেত্রী ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে, ২০১০ সালের জানুয়ারির দিকে ফ্লাইওভার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, চট্টগ্রামের দায়িত্ব তিনি নিজ হাতে নিয়েছিলেন। তিনি তার ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। মান্নান ফ্লাইওভার, আখতারুজ্জামান বাবু ফ্লাইওভার, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেলসহ যে পরিমাণ উন্নয়ন চট্টগ্রামবাসী দেখেছে, বলতে চাই ’৭৫ এর পরবর্তী বিগত কোন সরকারের আমলে এত উন্নয়ন চট্টগ্রামে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলতে চাই আজ ওনার কারণে বাংলাদেশ স্বাবলম্বী দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে মর্যাদা সম্পন্ন দেশ হিসেবে পরিচিত হয়েছে।’