সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক কাউন্সিলর আবদুর সবুর লিটনের কারখানায় অভিযান চালিয়ে মাটির নিচ থেকে ১৫ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ সিগারেট স্ট্যাম্প জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস ভ্যাট।
গতকাল বৃহস্পতিবার চকরিয়ার এলাকার লিটনের মালিকানাধীন বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো কারখানায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্যাট কর্মকর্তারা।
চসিকের সাবেক কাউন্সিলর লিটন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সিগারেট তৈরি করে আসলেও এ বিষয়ে নীরব ছিলেন কাস্টমস ভ্যাট ও এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত জুনে সংবাদমাধ্যমে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর কাস্টমস গোয়েন্দার তৎকালীন মহাপরিচালক ফখরুল আলমকে প্রধান করে একটি অনুসন্ধান কমিটি করে এনবিআর।
এ কমিটির নেতৃতে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রামের হালিশহর ও নয়াবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ সিগারেট পেপার ও অবৈধ সিগারেট স্ট্যাম্প জব্দ করে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস ভ্যাটের কমিশনার মুহাম্মদ জাকির হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিজয় টোব্যাকো কারখানার ভেতর মাটি খনন করে ফয়েল পেপারে মোড়ানো অবস্থায় নকল ও ব্যবহৃত ৩৮ লাখ ৭৪ হাজার সিগারেট স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়েছে।’
‘এসব ব্যান্ডরোল বা সিগারেট স্ট্যাম্প ব্যবহার করলে সরকার ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব হারাতো। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে’, বলেন তিনি।
জাকির হোসেন আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চোরাচালান প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। সকল ধরনের অবৈধ, জাল পণ্য ও সিগারেট বাজারে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
সূত্র: ডেইলি স্টার