পঞ্চভুতের হাত থেকে দেশের ভোজ্যতেলের বাজারকে রক্ষার অনুরোধ জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। ৮ মে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি ভোজ্যতেলের বাজারকে রক্ষায় এ অনুরোধ জানান।
এতে তিনি বলেন, দেশের ভোজ্যতেলের বাজারটি দখল করে রেখেছে একটি বিশাল সিন্ডিকেট চক্র। যারা প্রায়শই ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জনগণের পকেট কাটে। সরকার দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য যা কিছু সুযোগ সুবিধা প্রদান করে তাই পঞ্চভুতে গিলে খায়। ফলত খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সাধারন জনগন এর সুফল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়। তাই দেশের ভোজ্যতেলের বাজারকে নিয়ন্ত্রনের জন্য ভোজ্যতেলের আমদানিকে উন্মুক্ত করে দেওয়া আজ সময়ের দাবি। আমরা প্রায়শই দেখতে পাই আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির দোহাই দিয়ে দেশের ভোজ্যতেল এবং ভোগ্যপণ্যের বাজারকে এক প্রকার কুক্ষিগত করে রেখেছে পঞ্চভুত চক্রটি। বাজারে নিত্যপণ্যের প্রাপ্যতাকে স্বাভাবিক রাখতে হলে পঞ্চভুতের হাত থেকে ভোজ্যতেল এবং ভোগ্যপণ্যের বাজারকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য ভোজ্যতেল এবং ভোগ্যপণ্যের আমদানিকে কিছু সংখ্যক প্রতিষ্টানের হাতে না রেখে সকল আমদানিকারকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। সরকারের যাবতীয় সুযোগ সুবিধাদি সকল আমদানিকারকদের সমহারে প্রদান করলে দেশের ভোজ্যতেল এবং ভোগ্যপণ্যের বাজারকে স্থিতিশীল করা যাবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। দেশের আমদানি সকল ব্যবসায়ির জন্য অবারিত করে দিলে মূল্য স্থিতিশীল থাকবে বলে আশাবাদ সুজনের।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে যদিও কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে কিন্তু বর্তমানে ভোজ্যতেলের যে মূল্যবৃদ্ধি তা যুক্তিসঙ্গত কিনা তাও ভেবে দেখা একান্ত প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকটকে পুঁজি করে যারা এ কয়দিন সাধারণ জনগনকে অহেতুক কষ্ট দিয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। ভোজ্যতেল লুকিয়ে রেখে যারা সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া বিপুল পরিমানে ভোজ্যতেল আমদানির পরেও বাজারে তেলের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। মিল মালিক এবং পাইকাররা একে অপরকে দোষারোপ করছে। ফলত কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ ভোক্তা।
সুজন বলেন, প্রায় প্রতিদিনই বিদেশ থেকে আসা সয়াবিন তেলবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হচ্ছে। তেলের সংকট না থাকলেও আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা যোগসাজশ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে যাতে বাজার থেকে অতিরিক্ত মূল্য তুলে নেওয়া যায়। যারা জনগনকে জিম্মি করে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে সকলকে সচেতন হওয়ারও আহবান জানান তিনি। তিনি সাধারণ ভোক্তাদেরকে ভোজ্যতেলের ব্যবহার যতটুকু সম্ভব কমিয়ে আনা যায় সেদিকে নজর দেওয়ার অনুরোধ জানান। ভোজ্যতেলের ব্যবহার কমাতে পারলে তা একদিকে স্বাস্থ্যের জন্য উত্তম অন্যদিকে পঞ্চভুতের অযাচিত গ্রাস থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে বলে মত প্রকাশ করেন খোরশেদ আলম সুজন। বিজ্ঞপ্তি



















































