সুপ্রভাত ডেস্ক :
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল প্রদানে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন দ্রুত তাদের বিষয়ে তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। কোনো অবস্থাতেই বিদ্যুতের গ্রাহকদের অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হবে না। এছাড়া গ্রাহকদের অভিযোগও দ্রুতই সমাধান করা হবে।
আজ রোববার সচিবালয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত বিতরণ সংস্থা/কোম্পানিগুলোর প্রদত্ত প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, প্রাথমিকভাবে বিতরণ কোম্পানির ২৯০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পিডিবি ও আরইবির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাকিদের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের টাস্কফোসের্র প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সব মিলিয়ে ৬২ হাজার ৯৬টি বিলে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ২ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৩৪ হাজার ৬১১ জনের অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে। একইভাবে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ৯ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৯ জন গ্রাহকের মধ্যে ১৫ হাজার ২৬৬ জন, ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ১০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৫ হাজার ৬৫৭ জন, নর্দান ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ১৫ লাখ ৪৮ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ২ হাজার ৫২৪ জন, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) এর ১২ লাখ ১৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৫৫৬ জন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৫১৫ জনের মধ্যে ২ হাজার ৫৮২ জন অতিরিক্ত বিলের শিকার হয়েছে।
অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের জন্য গ্রাহকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ড. সুলতান আহমেদ বলেন, আমরা সব সময়ই গ্রাহকবান্ধব। আমরা যে আস্থা হারিয়েছি আশা করছি, তা শিগগিরই পুনরুদ্ধার করতে পারবো।
মহামারীর মধ্যেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে গিয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলোর মোট ৬০১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান বিদ্যু সচিব।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পিডিবির চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন ও পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইন।