সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈরী সম্পর্কের প্রভাব পড়েছে দেশ দুইটির ক্রীড়াক্ষেত্রেও। ভারত-পাকিস্তান সিরিজ মানেই উত্তেজন। তবে তা এখন দেখাই যায় না। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে সাদা পোশাকে ভারত-পাকিস্তান কখনোই মুখোমুখি হয়নি। ভারতে ২০১২ সালে পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজ খেললেও ২০০৫-০৬-এর পর ভারত আর কখনোই পাকিস্তান যায়নি। এদিকে ফের কযেক মাস ধরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রতিবেশি দেশ দুটির মধ্যে। এমন সময় দুই দেশের মধ্যকার সিরিজ ‘ভয়ঙ্কর পরিবেশ’ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। খেলা ছেড়ে রাজনীতিতে সেই বিশ্বকাপ জয়ের ২৮ বছরের মাথায় তিনি এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান পৃষ্ঠপোষকও তিনিই।
স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান জানিয়েছেন, ‘আমি মনে করি ভারতে যে ধরনের সরকার ক্ষমতায় আছে, তাতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজ ‘ভয়ঙ্কর পরিবেশ’ সৃষ্টি করতে পারে’।
ইমরান নিজেও ভারতের মাটিতে দুটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭৯ ও ১৯৮৭ সালে অনুষ্ঠিত সে দুটি সিরিজের পরিবেশ ভালো ছিল বলেই অভিমত তার, ‘ওই দুটি সিরিজে প্রচুর দর্শকের সামনে আমরা খেলেছিলাম। দুই দেশের সরকারও নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে সমস্যা মেটাতে তৎপর ছিল। ১৯৭৯ ও ১৯৮৭ সালে ভারতের মাটিতে খেলার পরিবেশটা ভালো ছিল’।
তবে ১৯৮৭ সালে ইমরান পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে কিছুটা সমস্যার মুখোমুখিও হয়েছেন, ‘১৯৮৭-তে দর্শকেরা পাকিস্তান দলের প্রতি কিছুটা বিদ্বেষী মনোভাব দেখিয়েছিল। এর কারণ, সে সময় দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু সমস্যা চলছিল’।
ইমরান এখনো মনে করেন ক্রিকেট দুনিয়ায় সবচেয়ে আকর্ষণীয় দ্বিপক্ষীয় সিরিজ এটিই (ভারত-পাকিস্তান), ‘অ্যাশেজের গুরুত্ব অবশ্যই আছে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান সিরিজের সঙ্গে তুলনায় কিছুই আসবে না। এ সিরিজটা স্নায়ু চাপ নিয়ে খেলতে হয়। এ সিরিজের উপভোগের মাত্রাটা ভিন্ন’।
অনেক দিন ধরেই ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজনের বিষয়ে কথা হচ্ছে। কিন্তু ভারত কোনোভাবেই পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজ খেলতে আগ্রহী নয়। এত দিন পাকিস্তানের তরফ থেকে দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সম্পর্ক নতুন করে ঝালাই করার জন্য সিরিজ খেলার কথা বলা হলেও এবার পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই এল নেতিবাচক এই মনোভাব। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
খেলা