সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »
ঢাকাই অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘সাবা’ নিয়ে এখন অবস্থান করছেন বিশ্বখ্যাত টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (টিআইএফএফ)-এ। উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র সিনেমাটি। এটি নির্মাণ করেছেন মাকসুদ হোসেন।
মুল খবর হলো, টরন্টোয় উৎসবস্থলে গিয়ে মেহজাবীনের দেখা হয়ে গেলো তারই অসম্ভব পছন্দের অভিনেত্রী নওমি ওয়াটসের সঙ্গে। ব্রিটিশ এই অভিনেত্রীর পুরনো ভক্ত মেহজাবীন। ফলে দেখা হওয়ার পর ভক্তসুলভ ছবি তুলতে ভুললেন না। সেটি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে প্রকাশ করতে করেননি দ্বিধা।
ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘নওমি ওয়াটসের সঙ্গে টিআইএফএফ-এ ফ্যানগার্ল মোমেন্ট।’ যেখানে তিনি নিজে ‘ভক্ত বালিকা’ বলে সম্বোধন করেছেন।
বলা দরকার, নওমি ওয়াটস ‘টোয়েন্টি ওয়ান গ্রাম’, ‘সেন্ট ভিনসেন্ট’, ‘দ্য রিং’, ‘দ্য ইম্পসিবল’, ‘কিং কং’, ‘বার্ডম্যান’সহ বহু জনপ্রিয় ইংরেজি ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
এদিকে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (টিআইএফএফ)-এ ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়েছে ‘সাবা’র। জানা গেছে, উদ্বোধনী প্রদর্শনীর টিকিট পাননি খোদ অভিনেত্রী! উৎসবের ওয়েব সাইটে টিকেট ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে।
শুধু অভিনয় নয়, ‘সাবা’ সিনেমাটি প্রযোজনাও করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। প্রযোজকের তালিকায় তার পাশাপাশি আছেন আরিফুর রহমান, তামিম আব্দুল মজিদ, ত্রিলোরা খান, মাকসুদ হোসেন ও বরকত হোসেন পলাশ। চিত্রগ্রহণ করেছেন বরকত হোসেন পলাশ। আবহ সংগীতে আম্মান আব্বাসি।
‘সাবা’ অর্থ সকাল, সকালের মৃদু বাতাস। মেহজাবীনের আশা, “গল্প, চরিত্র, নির্মাণ, সহশিল্পী ও নেপথ্যের মেধাবী কলাকুশলীদের সঙ্গে আমার অভিনয়ের সুযোগসহ সব মিলিয়ে ‘সাবা’ আমার জীবনে সবসময়ই বিশেষ একটি নাম হয়ে থাকবে।”
‘সাবা’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মেহজাবীনকে। এতে আরও অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ার। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।
টরন্টোয় মেহজাবীন ছাড়াও সঙ্গে আছেন অভিনেতা মোস্তফা মনওয়ার ও নির্মাতা মাকসুদ হোসেন।
বলা দরকার, টরন্টো উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে বিভিন্ন দেশের নবাগত ও উদীয়মান পরিচালকদের প্রথম ও দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র জায়গা পেয়ে থাকে। এবারের আসরে নির্বাচিত হয়েছে ‘সাবা’সহ ২৪টি চলচ্চিত্র। এরমধ্যে ২০টির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। এবারের উৎসব চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।