সুপ্রভাত ডেস্ক »
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ২৩ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে জিম্বাবুয়ে। আগে ব্যাটিং করে স্বাগতিকদের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এক বল বাকি থাকতেই ১৪৩ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারীরা।
১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্রুতই টপ অর্ডার ফিরে যায় ড্রেসিংরুমে। তৃতীয় ওভারে ফিরে যান আগের ম্যাচে ফিফটি করা সৌম্য সরকার (৮) ও নাঈম শেখ। ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বোল্ড হওয়ার আগে পাঁচ রান করেন নাঈম। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে এই দুই উইকেট হারিয়ে ৪২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে শেষ মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাভারে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব (১২)। এই চাপ থেকে আর বের হতে পারেনি সফরকারীরা। উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। চার রান করে বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে লং-অন দিয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন বদলি ফিল্ডার মুসাকান্দার হাতে। অধিনায়কের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন তিন নাম্বার পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান (১৫)।
প্রথম ১০ ওভারে ৬০ রানে পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারানোর ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এর মধ্যে অবশ্য আশা জাগিয়েছিলেন অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারি। তবে জিম্বাবুয়ে পেসার লুক জঙ্গুয়ের বলে লং অনে ক্যাচ দিলে ১৩ বলে ২৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটার সমাপ্তি ঘটে। সিরিজে প্রথম জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে এরপর আর বেশি সময় নেননি টেন্ডাই চাতারা-মুজারাবানিরা। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ফেরাল স্বাগতিকেরা।
এর আগে হারারে স্পোর্টস ক্লাব টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ওপেনার ওয়েসলি মাধিভেরের ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ে প্রথম উইকেট হারায় ১৫ রানে। মারুমানিকে (৩) বোল্ড করেন শেখ মেহেদী হাসান। জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান। রেজিস চাকাভা ১৪ রান করে সাকিবের বলে শরিফুল ইসলামের বলে আউট হন। জিম্বাবুয়ের রান তখন ৪২।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাধিভেরে ও ডিওন মায়ার্স দলের চাপ কমানোর চেষ্টা করেন। ৫৭ রানের জুটি গড়েন দুজন। ২৬ রান করে মায়ার্স শরিফুল ইসলামের বলে মেহেদী হাসানের ক্যাচে আউট হন। এক প্রান্তে ঠিকই রান তুলেতে থাকেন মাধিভেরে। টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন তিনি। ৫৭ বলে ৭৩ রান করে আউট হন মাধিভেরে।
শেষ দিকে অবশ্য কোনো ব্যাটসম্যান রান পাননি। রায়ান বার্ল অপরাজিত ১৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংস ভর করে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। শরিফুল ৩ টি, মেহেদী ও সাকিব ১টি করে উইকেট পেয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৬৬/৬ (মারুমানি ৩, মাধেভেরে ৭৩, চাকাভা ১৪, মায়ার্স ২৬, রাজা ৪, বার্ল ৩৪*, জঙ্গুয়ে ২; তাসকিন ০/২৮, শেখ মেহেদী ১/১১, শরিফুল ৩/৩৩, সাইফউদ্দিন ০/৩৬, সাকিব ১/৩২, সৌম্য ০/১৬, শামীম ০/৭)
বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ অলআউট (নাঈম ৫, সৌম্য ৮, শেখ মেহেদী ১৯, সাকিব ১২, মাহমুদউল্লাহ ৪, আফিফ ২৪, নুরুল ৯, শামীম ২৯, সাইফউদ্দিন ১৯, তাসকিন ৫, শরিফুল ০*; রাজা ০/২২, চাতারা ২/২৪, মুজারাবানি ২/২১, জঙ্গুয়ে ৩/৩১, মাসাকাদজা ৩/২০, মাধেভেরে ০/১৬)।