সংবাদ সম্মেলনে পিতার দাবি
নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া
নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন ফরিদের পাড়া এলাকায় জনৈক ইউসুফের ভাড়া বাসায় ব্যাংক কর্মকর্তা রহিম উদ্দিনকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার সকালে পটিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংক কর্মকর্তার পিতা নুরুল হক তার পুত্রকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে দাবি করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য রোকন উদ্দিন ও নেজাম উদ্দিন। পটিয়া বুধপুরা গ্রামের নুরুল হক লিখিত অভিযোগে জানান, তার ছেলে পূবালী ব্যাংক অফিসার রহিম উদ্দিনের সাথে ২০১৩ সালে সাতকানিয়া খাগরিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সাহাদাত হোসেনের মেয়ে আইরিন হোসাইন তানজিনার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী তানজিনাকে তার বাবা-মার সাথে ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে রহিম উদ্দিনের বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের দেখাশুনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তার স্ত্রী তানজিনা। ২৬ জুন রহিম উদ্দিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। ২১ জুলাই বেলা ৩টায় রহিমকে মৃত অবস্থায় মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিকেল ৫ টায় রহিমের শ্বাশুড়ি নুর নাহার বেগম ফোনে জানায়, আপনার ছেলে আত্মহত্যা করে মারা গেছে। মেডিক্যাল থেকে লাশ নিয়ে যান। তিনি মেডিক্যালে গিয়ে দেখেন রহিমের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বাসায় গিয়ে রহিম উদ্দিনের কক্ষে মেঝের উপর রক্ত দেখতে পায়। রহিম উদ্দিনের পিতার অভিযোগ, তার পুত্রের ব্যাংকে রক্ষিত টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।
উল্লেখ্য, রহিম উদ্দিন সর্বশেষ পূবালী ব্যাংক হাটহাজারী শাখার ২য় কর্মকর্তা ছিলেন।