হুমাইরা তাজরিন »
দিন দিন ব্যস্ততা বাড়ছে রাজপথে। নিরাপত্তায় নিয়মের পাশাপাশি আইন থাকলেও তা নিয়ে হেয়ালী অধিকাংশ মানুষ। ঝুঁকি নিয়ে ভাঙছে নিয়ম, প্রিয়জনদের ফেলছেন বিপদে। বিশেষ করে মোটর সাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা বেশ উদাসীন। হেলমেট ছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চালাচ্ছেন মোটরসাইকেল। এ বিষয়ে জনসচেতনতা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ।
গতকাল ১৩ জুলাই বিকেল ৪ টার দিকে মুরাদপুর মোড় এলাকায় এক মোটরসাইকেল আরোহীকে দেখা যায় হেলমেটবিহীন অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে। তার সাথে রয়েছেন ৩ শিশু এবং এক নারী যাত্রী। যাদের কারোরই মাথায় হেলমেট নেই। এমন সময় নারী যাত্রীর কোলে শিশু থাকায় তিনি ভালোভাবে ধরে বসতে পারেননি। সেই সাথে মোটরসাইকেল চালকের দুটো হাতও হ্যান্ডেলবারে থাকায় বাকি দুই শিশুকে তাদের ছোট্ট হাতে বাবাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে দেখা যায়।
ট্রাফিক আইন অনুযায়ী, মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট না থাকলে ১ হাজার টাকা জরিমানা। নতুন ট্রাফিক আইন ২০২০ অনুযায়ী দুজনের বেশি প্যাসেঞ্জার চাপানো যাবে না। মোটরসাইকেলে ২ জনের জায়গায় ৩জন চড়লে ট্রাফিক পুলিশের কাছে গুণতে হতে পারে ২হাজার টাকা, হতে পারে ৩ মাসের জেল এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও সিজ হতে পারে।
মোটরসাইকেলের পিছনে বসে থাকা ব্যক্তি যদি বিনা হেলমেটে মোটরসাইকেলে ট্রাভেল করেন তাহলে গুণতে হতে পারে নগদ ২শ টাকা। কিন্তু এসব গেলো ট্রাফিক নিয়ম এবং জেল জরিমানার হিসাব। তবে এমন ঝুঁকি নিয়ে যদি দুর্ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে চূড়ান্ত ক্ষতিকে কোনো জেল জরিমানায় পোষানোয় সম্ভব নয়। তাই ট্রাফিক বিভাগের মতে, সবার আগে প্রয়োজন জনসচেতনতা।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমশিনার (ডিসি) জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ করছি, মামলা দিচ্ছি আইন লঙ্ঘন হলে। কিন্তু মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে আইন প্রয়োগ করে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব না। তাছাড়া রাস্তায় কতগুলো গাড়ি চলার কথা আর চলছে কতগুলো। এতো বেশি গাড়ি চলাচল করলে আমাদের পক্ষে তো সব গাড়ির নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।’