তুচ্ছ ঘটনায় অস্ত্রের মহড়া
নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া :
সাতকানিয়ায় ফুটবল খেলায় চড় মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ধরে রাখতে অস্ত্রের মহড়া ধাওয়া ও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ ও ইট পাটকেলের আঘাতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও গুরুতর আহত ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে আমিলাইষ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত শনিবার আমিলাইষ ব্যাংক মাঠে আমিলাইষ ফুটবল ক্লাবের (এএফসি) সদস্যরা ফুটবল খেলছিল। এ সময় দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম মাঠের বাইরে বসে খেলা দেখছিলেন। মাঠে অন্যান্য সদস্যের সাথে মিনহাজের ভাই মিজবাহ উদ্দিন ফুটবল খেলছিলেন। খেলার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা ইমনের ছোড়া বল মিজবাহ’র গায়ে লাগলে মিনহাজ ও কামরুল মাঠের ভেতরে প্রবেশ করে ইমনকে চড় দিয়ে শাসিয়ে দেন। বিষয়টি ওখানে শেষ হলেও পরের দিন অর্থাৎ গতকাল রোববার বিকালে মিনহাজ, রিদোয়ান ও কামরুলের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন তাদের অনুসারীদের অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘটনাস্থলে মহড়াসহ হুমকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকবাসী তাদের ধাওয়া করে আমলিাইষ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পর্যন্ত নিয়ে আসেন। ধাওয়া খেয়ে তারা মসজিদ এলাকা থেকে এলাকাবাসীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক পশ্চিম আমিলাইষ ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আহমদ নাসিম (২৮), একই এলাকার যুবলীগ কর্মী জাহেদুল ইসলাম (২৫), স্থানীয় দোকানদার কায়সার উদ্দিন(৩০), পারভেজ উদ্দিন সুজন (২০), জলিল হোসেন (৪৫), জাকারিয় া(৪৭), সিএনজি চালক শহীদুল ইসলাম (২৩) ও শাহাদাৎ হোসেন (২২)। এছাড়া গতকাল আমিলাইষ বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন হওয়ায় বাজারে আগত আরো ৬/৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আহমদ নাসিম, জাহেদুল ইসলাম, কায়সার উদ্দিন ও শাহাদাৎ হোসেনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা অধিকাংশই মাথায়, পিঠে, মুখে, হাতে, নাকে ও গলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এ ব্যাপারে আহত আহমদ নাসিমসহ অন্যান্যরা মিনহাজ, রিদোয়ান ও কামরুলের নেতৃত্বে এ ঘটনা সংগঠিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও মিনহাজ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমিলাইষ ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম হানিফের লাইসেন্সে করা অস্ত্র থেকে কায়সার গুলি করে যা এলাকাবাসী দেখেছেন এ বিষয়ে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সাবেক এবং বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটে। দু’য়েকজন ছোড়া গুলিতে আহত এবং ৬/৭ জন জখম হয়েছেন। এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ কিংবা মামলা দায়ের করেনি।