সরকারের পরিবর্তনের পর শিক্ষার্থীদের আপত্তির মুখে বিভিন্ন ধাপে পদত্যাগ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ। এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও বাকি তিনটিতে উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় সেসব এখনো অচল হয়ে আছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস (সিভাসু) বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এ এস এম লুৎফুল আহসান। এরপর নিজেদের ক্যাম্পাস থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
১৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল আলম পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে। এখনো চুয়েটে উপাচার্য পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে ২৫ সেপ্টেম্বর উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে ১৭ আগস্ট রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন সেলিনা আখতার। সহ-উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন কাঞ্চন চাকমা। এখনো এই দুই পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
উপাচার্য না থাকায় শুধু যে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয় তা না, এ কারণে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট সভা ও শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয় না। এতে নিয়োগপ্রক্রিয়া, পদোন্নতি, প্রশাসনিক রদবদল আটকে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্ষণাবেক্ষণ ও বিভিন্ন খাতের কেনাকাটাও করা যায় না।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে কয়েকমাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। এতে সেসনজট হবে। ফলে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সচল করা দরকার।