সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
আর মাত্র তিনদিন, তারপরই শুরু হয়ে যাবে ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে আগামী ১৭ অক্টোবর। মেগা এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে বেশ আগেভাগেই দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। মধ্যপ্রাচ্যর আবহাওয়া ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গত ৩ অক্টোবর ওমান যায় টাইগাররা। মূল বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে রান পাননি ওপেনাররা। ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচটি বাদ দিলে ধারাবাহিক ব্যর্থ বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু মনে করেন বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যর আবহাওয়ার আর কন্ডিশনের সঙ্গে এখনো মানিয়ে নিতে পারেননি লিটন দাস, নাঈম শেখ, সৌম্য সরকাররা। নান্নু বললেন, ‘ওরা দেশে খেলে গেছে এখানের উইকেট একটু স্লো ছিল। সেখানে দ্রুত মানিয়ে নেয়া তাই কষ্টকর হচ্ছে। আরব আমিরাত এবং ওমানের উইকেটগুলো যেভাবে দেখছি, আমাদের ওপেনাররা সময় নিয়ে গুছিয়ে উঠতে পারবে এবং টিম হিসেবে খেলতে পারবে।’
তবে শুধু ওপেনারদের দায় দিতে নারাজ নান্নু, ‘শুধু ওপেনারদের নিয়ে ভাবলেই তো হবে না। শর্টার ভার্সনে সবাইকেই ভালো খেলতে হবে। এবং নির্দিষ্ট দিনে আপনার সেরাটাই দিতে হবে। কারণ, এটা অল্প সময়ের খেলা একদম ঘাড় ঘুরাতেই সময় চলে যায়। সুতরাং, এখানে কোন ল্যাকিংস থাকা চলবে না এবং প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা মুহূর্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১৪৭ রান তোলে বাংলাদেশ দল। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি কোন ব্যাটসম্যান। বোলিংয়েও বেহাল দশা টাইগারদের। ৭৫ রানে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট ফেলে দিলেও ম্যাচ বের করতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ৪ উইকেটের ব্যবধানে হারতে হয় ম্যাচ। এই ম্যাচ হারলেও বিশ্বকাপের আগে দলের আত্মবিশ্বাস টলবে না বলে মনে করেন নান্নু।
সাবেক এই অধিনায়কের ব্যাখ্যা, ‘প্রস্তুতি ম্যাচে উত্থান-পতন থাকবেই। কারণ এই ম্যাচগুলোতে অনেক কিছু পরখ করা দেখা হয়। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবকিছু মিলে, সবাইকে মূল্যায়ন করা হয় আর কি। সবাই এখানে প্রিপেয়ার হচ্ছে। সেই হিসেবে সবাই ভালো একটা সুযোগ পেয়েছে। ব্যাক টু ব্যাক অনেকগুলো ম্যাচ খেলছে। সহসা কিন্তু এতগুলো ম্যাচ পাওয়া যায় না। তো নিজেদেরকে প্রস্তুত করার মতো দারুণ একটা সুযোগ পাওয়া গেছে। আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বিশ্বকাপের আগেই দল ভালো একটা শেপের মধ্যে আসবে। আরেকটা ম্যাচ আছে। ছেলেরা ভিন্ন উইকেটে খেলছে। ১৭ তারিখ থেকে বিশ্বকাপ মিশনটা ভালো করে শুরু করতে পারব।