সুপ্রভাত ডেস্ক »
কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলালের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভায় দুই নেতাকে ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়েছে। দুই নেতার বাড়ি আনোয়ারা উপজেলায়। স্থানীয় রাজনীতিতে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে নগরীর নিউমার্কেট সংলগ্ন দোস্ত বিল্ডিংয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর সারাবাংলা’র।
আহতরা হলেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির আনসার ও জেলা যুবদলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম খোকা। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে হুমায়ুন কবির আনসার সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিটে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলমান বিরোধ নিরসনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালকে প্রধান করে একটি সাংগঠনিক টিম গঠন করে দেন। ওই টিমের পক্ষ থেকে শনিবার প্রতিনিধি সভা করা হয়। আজিজুল বারী হেলালের উপস্থিতিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ২২জন নেতা বক্তব্য দেন। আনোয়ারা উপজেলার কয়েকজন নেতা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সভা শেষ করে আজিজুল বারী হেলাল ভাইসহ সবাই মিলে বের হওয়ার সময় ২০-২৫ জন সশস্ত্র যুবক প্রথমে আনসার ভাইকে পেটে ছুরিকাঘাত করে। একই লোকজন আবার রফিকুল ইসলাম খোকা ভাইয়ের হাতে ছুরিকাঘাত করেন। দু’জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আনসার ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়।’
হামলাকারী কারা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের আমরা চিনতে পারিনি। তবে শুনেছি, আনোয়ারা উপজেলার বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিনের লোকরা হামলা করেছে। হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে আনসার ভাই ও খোকা ভাইয়ের রাজনৈতিক বিরোধ আছে।’
তবে হামলায় নিজের অনুসারীদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান বলেন, ‘সভা শেষে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় দুই নেতাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে শুনেছি। সেখানে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত ছিলেন। কিন্তু জটলার মধ্যে তারা কিছু দেখতে পায়নি। শুনেছি, দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’