সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
যুজবেন্দ্র চাহালকে নিয়ে মশকরা করার সময় জাতপাত তুলে মন্তব্য করেন যুবরাজ সিং। তারপরই সরগরম হয়ে ওঠে নেটদুনিয়া। প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনরা। টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে যায় ‘যুবরাজ সিং মাফি মাঙ্গো’ (যুবরাজ সিং ক্ষমা চাও) হ্যাশট্যাগটি। সেই ঘটনার দিন তিনেক পর অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্ট করে ক্ষমা চাইলেন বিশ্বজয়ী দলের তারকা যুবি।
বিষয়টি স্পষ্ট করতে পোস্টটিতে পাঞ্জাব দা পুত্তর লিখেছেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই যে আমি কোনওরকম বৈষম্যে বিশ্বাসী নই। তা সে জাতপাত হোক, বর্ণ হোক কিংবা লিঙ্গ। মানুষের ভাল করার জন্য আমি সবসময় তৈরি। প্রত্যেকটা মানুষকে সমানভাবেই সম্মান করি। বন্ধুর সঙ্গে চ্যাটিংয়ের সময় আমি যে মন্তব্য করেছিলাম, তাতে আমায় সকলে ভুল বুঝেছে। তবে এর মধ্যে দিয়ে যদি আমি কারও ভাবাবেগে আঘাত করে থাকি, তাহলে দেশের একজন দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। দেশ ও দেশবাসীর প্রতি আমার ভালবাসা অটুট থাকবে।’
ঠিক কী হয়েছিল?
আসলে পুরো ঘটনাটা মজার ছলেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু একটা শব্দই বিষয়টাকে বিতর্কিত করে তোলে। গত এপ্রিলে সোশ্যাল মিডিয়ায় রোহিত শর্মার সঙ্গে ভিডিও কলে আড্ডা দিচ্ছিলেন যুবরাজ। যেখানে হঠাৎই উঠে আসে ভারতীয় স্পিনার চাহালের প্রসঙ্গ। গৃহবন্দি অবস্থায় রীতিমতো নেটদুনিয়া কাঁপাচ্ছেন তিনি। নানা মজার মজার ভিডিও পোস্ট করে আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন। কিছু ভিডিও প্রশংসা কুড়োয় ঠিকই, তবে ট্রোলও কম হন না। এর আগে চাহালকে ট্রোল করতে ছাড়েননি অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। একইভাবে চাহালকে নিয়ে ঠাট্টা করছিলেন যুবি। ভাইরাল হওয়া ভিডিও চ্যাটের ক্লিপে চাহাল প্রসঙ্গে জাতপাত তুলে মন্তব্য করেন তিনি। তারকা ক্রিকেটারের মুখ থেকে এমন শব্দ (b***gi) প্রত্যাশা করেননি তার ভক্তরা। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক।
তবে শুধু নিন্দা-সমালোচনাতেই বিষয়টি সীমাব্ধ ছিল না। যুবির বিরুদ্ধে হিসার থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়। যেখানে তাকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। উত্তেজনার আঁচ চরমে পৌঁছেছে দেখেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার। সোশ্যাল মিডিয়াতেই ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
খেলা