বিজ্ঞান : ঘনীভবন, ঘূর্ণিবৃষ্টি

সাধন সরকার :

ঘনীভবন

বন্ধুরা, বায়ু যখন ঠান্ডা কোনো কিছুর সংস্পর্শে আসে, তখন বায়ুতে মিশে থাকা জলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বাষ্পকণা (জলীয় বাষ্প) ঠান্ডা হয়ে পানির ফোঁটা হিসেবে জমা হয়। বাতাসের জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে পানিতে পরিণত হয়। বাষ্প থেকে পানির এই ছোট ছোট তরলকণায় পরিণত হওয়াকে ঘনীভবন বলে। সহজ কথায়, ঘনীভবন হলো বাষ্পীভবনের বিপরীত ঘটনা। জলীয়বাষ্প হলো জলকণায় রূপান্তর প্রক্রিয়া। জলীয়বাষ্পপূর্ণ গরম (উষ্ণ) বায়ু ওপরে ওঠে এবং আরও শীতল হতে থাকে। এভাবে একপর্যায়ে বায়ু শিশিরকণায় পরিণত হয়। ঠিক এ সময় বায়ুতে তাপমাত্রা অনুযায়ী যেটুকু জলীয়বাষ্প থাকার কথা ঠিক ততটুকুই থাকে। তাপমাত্রা হ্রাস পেলে এ সময় আবার জলীয়বাষ্প ধারণক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। তবে বায়ুর জলীয়বাষ্প ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প বায়ুর ধূলিকণা ও গ্যাসীয় কণার সংস্পর্শে এসে জলকণায় পরিণত হয়। ওপরের আকাশে জলীয়বাষ্প যখন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয় তখন তাকে ঘনীভবন বলে। জলকণা ঘনীভূত হতে হতে মেঘের সৃষ্টি হয়।

ঘূর্ণিবৃষ্টি

ঘূর্ণিবাতের (ঘূর্ণনের প্রক্রিয়া) ফলে নি¤œচাপ (যদি কোনো এলাকায় চারপাশের তুলনায় বায়ুর চাপ কম থাকে) কেন্দ্রে বায়ু ঘুরতে ঘুরতে ওপরে ওঠে এবং ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়ে অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এটাই ঘূর্ণিবৃষ্টি। কোনো স্থানে নি¤œচাপের সৃষ্টি হলে এরূপ বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।