বিজ্ঞানীদের মজার ঘটনা

অনেক দিন আগের ঘটনা। এক বুড়ি তার জানালা দিয়ে পাশের বাড়িতে দেখল, এক বুড়ো সারাদিন শুধু বুদবুদ বানাচ্ছে। একদিন- দুইদিন- তিনদিন এভাবে বেশ কয়েকদিন লক্ষ্য করার পর বুড়ির মনে হলো লোকটি হয়তো পাগল। বুড়ি পুলিশে খবর দিল। পুলিশ এসে খোঁজ নিয়ে দেখল ইনি বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিউটন। তিনি তখন বুদবুদের গায়ে জে রংধনুর রঙ সৃষ্টি হয় তার কারণ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন।
বিজ্ঞানী নিউটনকে নিয়ে আরও মজার ঘটনা আছে।
একবার তার বন্ধুকে দাওয়াত দিলেন তিনি। কিন্তু নিজেই ভুলে গেলেন। রাতে নিজের খাবার ঢেকে রেখে বাইরে চলে গেলেন। এ সময় তার বন্ধু এসে তাকে ঘরে না পেয়ে তার খাবার দেখে ভাবলেন নিউটন খাবারটা হয়তো তার জন্য রেখে বাইরে চলে গেছেন। সে খেয়ে শুয়ে পড়ল। শোবার আগে সে বাসনপত্র আগের মত ঢেকে রেখে দিল। নিউটন বাসায় এসে তার বন্ধুকে দেখে ভাবলেন তিনি বন্ধুর বাসায় চলে এসেছেন। কিন্তু না। ওইতো খাবার ঢাকা আছে। খাবার খেতে গিয়ে দেখলেন খাবার নাই। তিনি ভাবলেন বোধহয় তিনি খাবার খেয়ে বাইরে গিয়েছিলেন!
বিজ্ঞানীরা এমন ভুলোমনা হয়ে থাকেন। বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু একবার সায়েন্স কংগ্রেসে বক্তৃতা দেওয়ার সময় দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে গিয়েছিলেন। আর জাপান ভ্রমণের সময়ের তিনি তো লুঙ্গি পরেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন পুরো সফর!বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন একদিন তার মেয়ে সিনেমা দেখতে যাওয়ার বায়না ধরল। সত্যেন্দ্রনাথ তখন গণিতের একটা জটিল সমস্যা সমাধানে চিন্তামগ্ন। তারপরও মেয়ের জোরাজুরিতে রাজি হলেন।
মেয়েকে নিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে গেলেন সিনেমা হলে। গাড়ি থেকে নেমে গাড়োয়ানকে টাকা দিতে গিয়ে দেখেন মানিব্যাগ বাসায় ফেলে এসেছেন। চিন্তিত মুখে মেয়েকে সিনেমা হলের সামনে অপেক্ষা করতে বলে একই ঘোড়ার গাড়িতে বাসায় ফিরে এলেন।
টেবিলের ওপর থেকে মানিব্যাগটা তুলতে গিয়ে তাঁর দৃষ্টি পড়ল কিছুক্ষণ আগে শেষ করতে না পারা বৈজ্ঞানিক সমস্যাটির সমাধানের ওপর। তারপর ভুলে গেলেন সিনেমা দেখার কথা। মেয়েকে যে সিনেমা হলের সামনে একা ফেলে এসেছেন ভুলে গেলেন তা-ও। সবকিছু ভুলে গিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন সমস্যাটির সমাধানে।
এদিকে গাড়োয়ান অপেক্ষা করছে। দু’ঘন্টা পরেও যখন বিজ্ঞানী বের হচ্ছেন না তখন গাড়োয়ান সাহস করে ঘরে ঢুকে দেখে বসু চেয়ারে বসে অংক কষছেন। গাড়োয়ান যখন ডাক দিল সত্যেন্দ্রনাথ চমকে উঠলেন, ‘কী হল?’
গাড়োয়ান তখন সিনেমায় যাওয়া আর মেয়ে সিনেমা হলে একা অপেক্ষা করছে বলাতে সত্যেন্দ্রনাথ সম্বিত ফিরে পেলেন এবং তাঁর ভুল বুঝতে পারলেন।