চট্টগ্রাম নগরীতে সুশৃংখল ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হকারদের আয়-রুজির পথ নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। হকারদের সাথে আলোচনায় সর্বসম্মতভাবে যে সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়েছে তা মেনে চলার জন্য চসিক প্রশাসক আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি জানান, সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত হকাররা ব্যবসা পরিচালনা করবেন।
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম পর্যায়ে স্টেশন রোড ও আগ্রাবাদে নির্ধারিত জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হকাররা বসতে পারবেন। তাদের জন্য হলুদরঙের স্থানে শুধুমাত্র বসার টুল ছাড়া অন্য কোনো স্থাপনা থাকবে না এবং এখন থেকে সড়কের একপাশেই তাদের ব্যবসা করতে হবে। হকারদের খেয়াল রাখতে হবে, তাদের ব্যবসার কারণে নগরবাসীর হাঁটাচলা এবং যানবাহন চলাচলে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, হকার উচ্ছেদ নয়, তাদের পুনর্বাসন করাইটাই হলো সামাজিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, হকাররা যে সকল হলুদচিহ্নিত স্থানে বসবেন, সে জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও বাতি লাগানোর দায়িত্ব পালন করবে সিটি করপোরেশন। এছাড়া হকারদের জন্য ব্যাজ ও ইউনিফর্মও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এই ইউনিফর্ম ছাড়া কোনো হকার রাস্তায় বসতে পারবেন না।
তিনি উল্লেখ করেন, হকার নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে যে সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়েছে, তা যদি মেনে চলা হয়, এই সুশৃংখল ব্যবস্থাপনার সুফল তারাই পাবেন। সিদ্ধান্ত পালনে যেন ব্যত্যয় না ঘটে, সেজন্য হকার নেতৃবৃন্দকে তিনি সতর্ক বার্তা দেন। তিনি বলেন, অনেক সময় ফুটপাত অরক্ষিত থাকায় পথচারী ও নগরবাসী দুর্ঘটনার শিকার হন। এসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে, স্কুল-কলেজের শিক্ষাথীরা যাতে স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারে ও নগরবাসীকে স্নিগ্ধ, নির্মল ও দুর্গন্ধমুক্ত সকাল উপহার দেয়া যায়, চসিক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়নে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন চসিক প্রশাসক।
তিনি বলেন নদী-সাগর ও পাহাড়ের মেলবন্ধনে চট্টগ্রাম নগরীর যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, তা অবশ্যই ফিরিয়ে আনা হবে। বিজ্ঞপ্তি
Uncategorized