মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র আ জ ম. নাছির উদ্দিন বলেন, বিএনপি মুখে বললেও তারা গণতান্ত্রিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়। তাদের দলের জন্মই বন্দুকের নলের মাধ্যমে। অবৈধ ক্ষমতা দখল করার পর তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেছিলেন। ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেওয়া একটি দল কিভাবে গণতান্ত্রিক হতে পারে সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। তারা ১৯৭১ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা প্রদান করে বক্তব্য প্রদানকারী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী এবং ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিমের মত একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রীত্ব দিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ও আল মুজাহেদী এবং সালাউদ্দীন কাদেরকে মন্ত্রীত্ব দিয়েছিলেন। এখন প্রশ্ন বিএনপি কী আসলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে?
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এবং সমতা-সম্প্রীতি ও অর্থনৈতিক মুক্তি।
তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি জামাতের অরাজকতা ও নাশকতা বিরোধী কর্মকা-ের প্রতিবাদে এবং জনগণের জানমাল রক্ষার প্রত্যয়ে জেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথেই থাকবো। জনগণের জানমাল রক্ষায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশে থাকবো। জনগণের আস্থা ও ভরসা অর্জনে বিগত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে কি দিয়েছেন তার বিবরণ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
সভাপতরি বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না তখন শত প্রতিকূলতার মধ্যেও জনগণকে
সাথে নিয়ে রাজপথে ছিল। আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ তাই অরাজকতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায়। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য অতীতেও বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্র সাময়িক সফল হলেও তার স্থায়িত্ব ছিল না। জনগণই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে রাজপথে প্রতিরোধ করেছে। কেননা ইতিহাসের শিক্ষা হলো কোন ষড়যন্ত্রকারী শেষ পর্যন্ত সফল হয় না বরং ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তাই এখন যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের পরিণতিও একই হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, আলহাজ্ব সফর আলী, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, দিদারুল আলম চৌধুরী, জহর লাল হাজারী, জাফর আলম চৌধুরী, ড. নেছার আহমেদ মঞ্জু, সিদ্দিক আলম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি