নিজস্ব প্রতিবেদক »
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিএনপি মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল, আন্দোলনের বেলুনটা ফুলিয়েছিল। পরের দিন আবার ঢাকার প্রবেশমুখ অবরোধ দিয়েছিল, এরপর দেখা গেল বিএনপির আন্দোলনের যে বেলুন ফুলেছিল পরেরদিনই তা ফুটে গেছে। বিএনপি আন্দোলনের বেলুন আর ফুলাতে পারছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর এলজিইডি মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপিও বুঝতে পেরেছে শেখ হাসিনাকে সরানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, সেজন্য তিনি বলেন, আন্দোলনের বেলুন না ফোলার কারণে এখন তাদের লিফলেট বিতরণ আর হাঁটা কর্মসূচি, পদযাত্রা মানেই তো হাঁটা। কয়দিন হাঁটা কর্মসূচি, কয়দিন বসা কর্মসূচি, আবার কয়দিন দৌড়ানো কর্মসূচি দিয়ে তারা কর্মীদের চাঙা রাখার চেষ্টা করছে। তাদের কর্মীরাও জেনে গেছে বিদেশিদের পদলেহন এখন করে তাদের কোন লাভ হয়নি। বিদেশিরাও তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তথাকথিত নিরপেক্ষ সরকার, এগুলোর প্রতি কোন সমর্থন জানায়নি। সেজন্য বিএনপি আন্দোলনের বেলুন আর ফুলাতে পারছে না। একটু বাতাস ঢুকে, আবার বের হয়ে যায়, এই হচ্ছে বিএনপি’র দশা।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করছে কিনা সেটি হচ্ছে মুখ্য, সেখানে বিএনপি নেতারা কিংবা বিএনপি অংশগ্রহণ করলো কিনা সেটি মুখ্য বিষয় নয়। কেউ নির্বাচনে আসুক বা না আসুক জনগণের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও অবাধ সুন্দর আগামী নির্বাচন হবে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা পরপর চারবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন এই দেশে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ও খোন্দকার মোস্তাক বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের অন্যতম কুশীলব। আজকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচার হয়েছে, কিন্তু কুশীলবদের বিচার হয়নি। কারা এই ষড়যন্ত্রের পটভূমি রচনা করেছেন, কারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পেছনে কলকাঠি নেড়েছে সেগুলো উন্মোচিত হয়নি। ইতিহাসের স্বার্থে ভবিষ্যৎ পাঁচশ’ বছর পরের প্রজন্ম যেন জানে কে বাঙালি জাতির মহানায়ক, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তাঁর হত্যাকা-ের কুশীলব কারা ছিল, সেটি উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন একটি কমিশন হবে, কমিশনের মাধ্যমে কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পেছনে স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তি, বিদেশি ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষও জড়িত ছিল। সেই কারণে হত্যাকা-ের পর তার রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ উল্লাস প্রকাশ করেছিল এবং তারা হত্যাকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছিল।
সংগঠনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সহসভাপতি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, অধ্যাপক মঈনুদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।