সুপ্রভাত ডেস্ক »
দীর্ঘ ১৫ বছরের আক্ষেপ মোচন করে আজ ঘরের মাটিতে আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে গতকাল তারা মুখোমুখি হয়েছিল নেপালের। আর প্রথমবারের মত এ টুর্নামেন্টে খেলতে আসা হিমালয়ের কোলঘেষা দেশটিকে উড়িয়ে ২৩৮ রানের রেকর্ড গড়া এক জয় পেয়েছে বাবর আজমের দল। টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক বাবর এবং ইফতিখার আহমেদের বিধ্বংসী শতকে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রানের সংগ্রহ গড়েছিল পাকিস্তান। আর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নেপাল থেমেছে ১০৪ রানেই। পাকিস্তানের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়।
পাকিস্তানের দেয়া ৩৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শাহিন আফ্রিদীর প্রথম ওভারেই দুইটি চার মেরে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন নেপালের ওপেনার কুশল ভুর্তেল। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। নেপালি এই ওপেনার ফিরেছেন সেই ওভারেই। আফ্রিদির বলে ইনিংসের পঞ্চম বলেই উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। খবর ঢাকামেইল।
এরপর ইনিংসের এবং নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলেই আরও এক উইকেট তুলে নেন আফ্রিদি। ফলে দলীয় ১০ রানে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে নেপাল। শেষ পর্যন্ত আর তা থেকে উদ্ধার পায়নি তারা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দলটি।
দলের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন সম্পাল কামি। শাদাব খান এবং হারিস রঊফের বোলিং তোপে আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু হয় নেপাল দলে। আর শেষ পর্যন্ত তাদের ইনিংস থামে ২৩.৩ ওভারে মাত্র ১০৪ রানেই।এদিকে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই বিপাকে পড়ে ম্যান ইন গ্রিনরা। পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিক দল। সপ্তম ওভারের ভেতর দলীয় মাত্র ২৫ রানের ভেতর সাজঘরে ফিরেন ফখর জামান ও ইমাম উল হক। ব্যক্তিগত ১৪ রানে কারান কেসির শিকার হন ফখর। অপরদিকে রান আউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন আরেক ওপেনার ইমাম।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে পাকিস্তানের ভাগ্য যেন আজ রান আউটের ফাঁদেই ছিল। এই দুই তারকা যখন বিধ্বংসী হয়ে উঠছিল ঠিক তখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে দলীয় ১১১ রানে ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে ৬ রান দূরে থেকে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন রিজওয়ান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিডেল অর্ডার ব্যাটার আগা সালমান। মাত্র ৫ রান করে লামিচানের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন ইফতিখার আহমেদ ও বাবর আজম।
এই দুই ব্যাটারের বিধ্বংসী জুটিতে শেষদিকে নেপাল বোলাররা দাঁড়াতেই পারেনি। দুজনেই তুলে নেন শতক। ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পান মিডেল অর্ডার ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ। অপরদিকে বাবর আজম তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ১৫০ উর্ধ্বো রান।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে রেকর্ড ২১৪ রানের পার্টনারশিপে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪২ রানের পাহাড় সমান পুঁজি পায় পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ১৫১ রান করেন বাবর আজম। অপরদিকে ইফতিখার আহমেদ খেলেন অপরাজিত ৭১ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এটিই তার ক্যারিয়ারের প্রথম শতক ও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। নেপালের হয়ে দুইটি উইকেট সম্পল কামি।