সুপ্রভাত ডেস্ক »
বান্দরবানে গত কয়েকদিনের মতো বৃষ্টিপাত এখনো অব্যাহত রয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে জেলার সাঙ্গু নদীর পানি। এ অবস্থায় নদী তীরবর্তী বসবাসকারী জনসাধারণের দিন কাটছে উৎকণ্ঠা আর আতঙ্কের মধ্যে।
ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় জেলা সদরের লাঙ্গিপাড়া, বালাঘাটা, কালাঘাটা, ক্যাচিংঘাটা, সাইঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি পাহাড় অধ্যুষিত এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল ঢাকা পোস্টকে জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে, পাহাড় ঘেঁষা বসবাসকারী জনসাধারণ অনেক ঝুঁকিতে আছেন বলে তিনি জানান।
ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের কারণে জেলা সদরের সঙ্গে অন্য উপজেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক থাকলেও বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসে রাস্তার ওপর মাটি চলে আসায় যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে উঠেছে। পাহাড় ঘেঁষা এসব সড়কে যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের কারণে রুমা উপজেলায় ২নং সদর ইউনিয়নের আশ্রম পাড়া এলাকায় বসবাসকারী রুমার স্থানীয় সাংবাদিক অংবাচিং মারমার বাড়ির সামনের পাহাড় ধসে পড়েছে। গভীর রাতে টানা বৃষ্টিতে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে পাহাড় ধসে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তাছাড়া অনিয়ন্ত্রিতভাবে পাহাড় কাটার কারণে পাহাড় ধসের শঙ্কা বেড়েছে জেলা সদরসহ লামা, থানচি, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাহাড় অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে।
ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পূর্ব সতর্কতার বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোমধ্যে জেলার সাতটি উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তাদের স্ব স্ব স্থানে নজরদারি বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি, এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো দুর্ঘটনার সংবাদ পাইনি। তবে বেশ কয়েকটি স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে, যা সংস্কারে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন।
ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাহাড় অধ্যুষিত এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।