সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবলের দায়িত্বে আছেন জেমি ডে। কদিন আগে চুক্তি বাড়িয়েছেন আরও দুই বছরের জন্য। ক্রিকেট ও ফুটবলের প্রতি এ দেশের মানুষের ভালোবাসা দেখেছেন তিনি কাছ থেকে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এই ইংলিশ কোচের মনে হচ্ছে, ক্রিকেটের মতো ফুটবলেরও অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। জনপ্রিয়তা থাকলেও ফুটবলের প্রতি মানুষের টান সেই আগের মতো নেই। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেই কোনো সাফল্য। সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের চারটি আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ার বিষাদ সঙ্গী দলের।
ঘরোয়া ফুটবল নিয়ে দর্শকের নেই তেমন কোনো আগ্রহ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে লিগের ম্যাচগুলোতে গ্যালারি থাকে ফাঁকা। ঢাকার বাইরে ম্যাচ হলে কিছু দর্শক আসে। এই দীনতায় পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলোও খুব একটা এগিয়ে আসে না।
ফিফাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরের চার ম্যাচ, এ দেশের ফুটবল, ক্রিকেটের অবকাঠামোগত পার্থক্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ডে।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের দ্বিতীয় ধাপের খেলা আগামী অক্টোবরে পুনরায় শুরু হবে। আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে নতুন শুরু করবে বাংলাদেশ।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থগিত হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাছাইয়ে খেলা চার ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ১-১ ড্র থেকে একমাত্র পয়েন্ট পেয়েছিল বাংলাদেশ। হেরেছিল আফগানিস্তান, ওমান ও কাতারের কাছে । তবু ডে দাবি করছেন, গত চার ম্যাচে খারাপ করেনি দল।
‘আমরা জানতাম, এই গ্রুপে আমরা আন্ডারডগ এবং গ্রুপের অন্যদলগুলো ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের চেয়ে অনেক ওপরে থাকবে। গত চার ম্যাচে আমরা খুবই ভালো খেলেছি এবং আরও বেশি পয়েন্ট পেতে পারতাম। চারটি ম্যাচেই আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল, কিন্তু ওমানের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে গোল খাওয়াটা ছিল খুবই হতাশার।’
বাকি চার ম্যাচের তিনটি নিজেদের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে খেলা বলে আরও ভালো কিছু পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী কোচ।
‘নিজেদের মাঠে খেলার জন্য এবং এশিয়ান কাপের পরের আসরে খেলার স্বপ্ন পূরণে আরও পয়েন্ট নিশ্চিত করার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি। কিন্তু আমাদের জন্য হতাশার হচ্ছে, এই ম্যাচগুলো আমরা নিজেদের দর্শকের সামনে খেলতে পারব না, যারা আমাদেরকে আমাদেরকে দারুণভাবে সমর্থন জোগাতে পারত।’
২০১৮ সালের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশের ফুটবল বদলেছে বলে মনে করেন ৪০ বছর বয়সী এই কোচ। তবে পারিপার্শ্বিক আরও অনেক কিছুতে উন্নতির তাগিদ জানালেন তিনি।
‘আমি মনে করি, বাংলাদেশে ফুটবল খুবই জনপ্রিয়, কিন্তু অবকাঠামো, ফান্ডিং, পৃষ্ঠপোষকতার দিক থেকে ক্রিকেট অনেক বেশি উন্নত। এখানকার ফুটবলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। তৃণমূল ফুটবল থেকে শুরু করে ঘরোয়া লিগে খেলা পেশাদার ক্লাবগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। এটা হলে আরও প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় ভবিষ্যতে উঠে আসবে এবং সেটা খেলাটির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
খবর : বিডিনিউজ’র।
খেলা